মানুষের খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার বাজেট দিন : এবি পার্টি

0

মানুষকে যারা কাঁদাচ্ছে সেই দুর্বৃত্তপনার সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে জনগণ যেন খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারে সেরকম বাজেট দেওয়ার দাব জানিয়েছে এবি পার্টি। 

আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে রবিবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাজেট পূর্ব সংবাদ এক সভায় একথা বলেন পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। 

এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, সরকারের ভিতরে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের ফলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম তথা জীবনযাত্রার ব্যয় এত বেড়ে গেছে, বাজারে গিয়ে কাঁদতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিপরীতে লাভবান হচ্ছে সিন্ডিকেটের সদস্য সরকার দলীয় মুষ্টিমেয় কিছু গোষ্ঠী। তাই আসছে নতুন অর্থবছরের বাজেট হতে হবে এই সিন্ডিকেট ভাঙার বাজেট। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে বেড়ে চলা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার বাজেট। জনগণকে যেন বাজারে গিয়ে কাঁদতে না হয় বরং তাদের মুখে হাসি ফুটে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণের বাজেট। মুষ্টিমেয় কারো হাতে যেন সম্পদ কুক্ষিগত না হয় তার বিপরীতে সাম্য ও সমতা বিধানের বাজেট। 

জার্মান ফেডারেল সরকারের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প গবেষক জিয়া হাসান বলেন, ঋণ করে ঘি খাওয়ার বাজেট নীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে আয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। বাকিটা দেশী ও বিদেশি উৎস থেকে ঋণ করা হবে। ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রাকে অবাস্তব বলে মনে করি। 

আবুল কালাম আজাদ বলেন, কর, আয়কর, অগ্রিম আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক, আবগারী শুল্ক ইত্যাদি যদি প্রতিবছর হার পরিবর্তন হলে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, বিশেষ করে খরচ ও মূল্যের তালিকা করা দূরহ হয়ে পড়ে; এতে বাজেট কেন্দ্রিক ফটকা কারবার, হোর্ডিং ইত্যাদি বেড়ে যায়। তাই উপরোক্ত ৫টি হারের ব্যাপারে ৫ বছরের স্থিতিশীল নীতিমালা ঘোষণা করা আবশ্যক। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, মেহেদী হাসান চৌধুরী পলাশ, আনোয়ার হোসেন, চৌধুরী সাকিব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here