সবজি চাষের জন্য মানিকগঞ্জ বরাবরই পরিচিত। জেলার প্রায় সব উপজেলাতেই সবজি আবাদ হয়, তবে সিংগাইর ও সাটুরিয়া সবজি চাষে সবচেয়ে বেশি উন্নত এলাকা হিসেবে পরিচিত। এবার সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী এলাকায় বেগুনের আবাদ বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ভালো দাম পাওয়ায় দিনদিন বেগুন চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
জেলায় এ মৌসুমে ১ হাজার ২০৪ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ হয়েছে। অধিক উৎপাদন ও বাজারে স্থিতিশীল দামের কারণে প্রতিবছরই এই আবাদ বাড়ছে। তিল্লী এলাকার কৃষক সিদ্দিকুর রহমান জানান, এক বিঘায় উৎপাদন খরচ হচ্ছে প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা। দাম এভাবে থাকলে বিঘায় এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে পারে বলে তাঁর ধারণা।
তিনি আরও বলেন, এ এলাকার জমি কখনোই পতিত থাকে না। অনেক জমিতে ধনেপাতা, করল্লার আবাদও হয়েছে। উৎপাদিত বেগুন সদর উপজেলার ভাটবাউর ও জাগীর আড়তে বিক্রি করা হয়। প্রতিমণ বেগুন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৮ শ থেকে ২ হাজার টাকায়। নারী–পুরুষসহ শ্রমিকরা মিলেমিশে জমিতে কাজ করে থাকেন।
আড়ৎদার বদর উদ্দিন বলেন, ভালো দামের কারণে শীতকালীন প্রায় সব ধরনের সবজি মানিকগঞ্জে আগাম চাষ করা হচ্ছে। মানিকগঞ্জে সাধারণত লম্বা ও গোল—দুই জাতের বেগুনই বেশি চাষ হয়। দেখতে সুন্দর ও স্বাদে ভালো হওয়ায় এখানকার বেগুনের চাহিদা সবসময়ই বেশি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, শাহজাহান সিরাজ জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা পরামর্শ মেনে পরিচর্যা করায় পোকামাকড়ের আক্রমণও হয়নি। জেলায় এবার ১ হাজার ২০৪ হেক্টর জমিতে বেগুন আবাদ হয়েছে। দাম এমন থাকলে আগামীতে বেগুনের আবাদ আরও বাড়বে।

