মাদারীপুরে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে বেরো ধান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। ধান কর্তন শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। তবে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে সংশয়ে কৃষকেরা। যদিও কৃষি বিভাগ হাইব্রিড ধান উৎপাদনের মাধ্যমে খরচ কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের।
এবছর মাদারীপুর জেলায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। আর আবাদ হয়েছে ৩৩ হাজার ৭৫১ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের হার হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ৩ মেট্রিক টন। অধিকাংশ মাঠেই এখন পাকা বোরো ধান। ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা। তীব্র দাবদাহের কারণে ধান কর্তনে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে কৃষকদের। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হওয়ায় খুশি কৃষক। তবে সার, বীজ, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ।
পাঁচখোলা ইউনিয়নের বাহেরচর কাতলা গ্রামের কৃষক মেহেদি বাদশা জানান, বোরো পরবর্তীতে আমন ধান উৎপাদনের জন্য কৃষি বিভাগের প্রণোদনা এবং সার ও বীজের দাম কমানোর জন্য সরকারের কাছে আমাদের দাবি।
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মতিন বিশ্বাস জানান, বোরো ধান পরিপক্ব হয়েছে। অনেকেই কর্তন শুরু করেছে। তবে উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য হাইব্রিড ধান চাষ এবং প্রায় ২২ হাজার কৃষকে বোরো ধানের প্রণোদনা প্রদান করা হবে।