ভারতের দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মোট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৭৩ লাখ রুপি। তবে তার নিজস্ব কোন বাড়ি বা গাড়ি নেই।
আগামী মাসে ভারতের দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বুধবার নির্বাচনি হলফনামায় তার যে সম্পত্তির হিসাব দিয়েছেন, তাতে এই তথ্য উঠে এসেছে।
নির্বাচনি হলফনামা অনুযায়ী তার স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩.৪৬ লাখ রুপি। এর মধ্যে ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে ২.৯৬ লাখ, নগদ অর্থের পরিমাণ ৫০ হাজার রুপি।
অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে গাজিয়াবাদে একটি ফ্ল্যাট, যার মূল্য ১ কোটি ৭ লাখ রুপি। তবে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের নিজের নামে কোন ফিক্সড ডিপোজিট, শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড বা ইন্সুরেন্স পলিসি নেই।
হলফনামা অনুযায়ী কেজরিওয়ালের বার্ষিক আয়ের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তার আয় ছিল ৭ লাখ ২১ হাজার রুপি, যদিও ২০২০ সালের নির্বাচনি হলফনামা অনুযায়ী তার আয় ছিল ৪৪ লাখ ৯০ হাজার রুপি। মূলত তার আয়ের একটা বড় অংশই ছিল আপ বিধায়ক হিসেবে তার বেতন ও অন্য ভাতা।
অন্যদিকে অরবিন্দের স্ত্রী সাবেক সরকারি কর্মকর্তা সুনীতা কেজরিওয়ালের মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৫০ লাখ রুপি। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে গুরুগ্রামে ১ কোটি ৫০ লক্ষ মূল্যের বাড়ি। অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি রুপি, যার মধ্যে রয়েছে ২৫ লাখ রুপি মূল্যের ৩২০ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৯২ হাজার রুপি মূল্যের ১ কিলোগ্রাম ওজনের রুপোর গহনা। সাবেক সরকারি কর্মী সুনীতার বাৎসরিক আয় পেনশন থেকে প্রাপ্ত ১৪ লাখ ১০ হাজার রুপি, যেটা তার স্বামী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের থেকে প্রায় দ্বিগুণ।
সে অর্থে তাদের উভয়ের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ২৩ লাখ রুপি। এর আগে ২০২০ সালে হলফনামা অনুযায়ী তাদের উভয়ের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৪০ লাখ রুপি এবং ২০১৫ সালের নির্বাচনি হলফনামা অনুযায়ী তাদের সম্পদ ছিল ২ কোটি ১০ লাখ রুপি।
এছাড়াও নির্বাচনি হলফনামা অনুযায়ী কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ১৪ টি অপরাধের মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ২০১৩ সাল থেকে নির্বাচনে ময়দানে রয়েছেন কেজরিওয়াল। তবে এবারের নির্বাচনে যথেষ্ট শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে মূর্তি হতে পারে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কেজিওয়ালকে। নিউ দিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রে এবারে তার প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির পারভেশ শর্মা এবং কংগ্রেসের সন্দীপ দীক্ষিত। ভোট গণনা আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।