মাটির পুষ্টি কমায় ইউক্যালিপটাস

0

গভীর শিকড়সহ ইউক্যালিপটাস গাছ পানির জন্য প্রতিযোগিতা করে। শুষ্ক এলাকায় আশপাশের উদ্ভিদ প্রজাতির ওপর খরার চাপ বাড়ায়। মাটির পুষ্টি হ্রাস করে। 

ইউক্যালিপটাস অযত্নে গড়ে ওঠে। এর কাঠ কিছুটা মূল্যবান ও গৃহনির্মাণেও ব্যবহৃত হয়। অনেক জেলায় কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় ধান চাষের পাশাপাশি খেতের পাশে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগিয়ে থাকে। এই গাছের বিষাক্ত প্রভাবে ধান উৎপাদনে সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির বিষয়টি তাদের কাছে অনেকাংশে অস্পষ্ট-অজানা। এক গবেষণায় এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে।

অধ্যাপক শাহাদাত পরামর্শ দিয়েছেন, ধানের খেতে ইউক্যালিপটাস পাতা পড়ে ভূমিতে এর বিষাক্ত রাসায়নিকগুলো জমা হয়ে ধানসহ অন্যান্য গাছের বিভিন্ন বৃদ্ধির পর্যায়গুলোকে বাধা দিয়ে শস্য উৎপাদন ব্যাহত করতে পারে। প্রাকৃতিক ক্ষতি ধীরে ধীরে হয়। তবে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন। 
তিনি উল্লেখ করেন, খেতে নির্যাস-প্রয়োগ করা ধানের চারা বড় জমিতে রোপণের মাধ্যমে ইউক্যালিপটাস পাতার নির্যাসের প্রভাব বোঝার চেষ্টা চলছে। তবু পরীক্ষাগার এবং টবের মাটিতে করা পরীক্ষার ফলাফলগুলো ধান উৎপাদনের ওপর অবশ্যই উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাবের কথাই নির্দেশ করে। এ জন্য তিনি প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের মনোযোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। ইউক্যালিপটাস গাছ শুধু ধানের খেতই নয়, স্থানীয় উদ্ভিদের প্রজাতিকেও হুমকির ওপর রেখেছে। 

ড. শাহাদাত ইউক্যালিপটাসের স্বল্পমেয়াদি অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য প্রধান ফসল যেমন ধান এবং অন্যান্য শস্যের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সমাধান করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here