মাচা পদ্ধতিতে হাইব্রিড করলা চাষ

0

দিনাজপুরে ভাল ফলন ও লাভজনকের আশায় এবার মাচা পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের করলা চাষ করা হয়েছে। এ অঞ্চলের মাটি করলাসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষের জন্য উপযোগী। বর্তমানে সময়ে কৃষকের ক্ষেতে মাচায় ঝুলছে হাইব্রিডসহ বিভিন্ন জাতের করলা। করলা ক্ষেতে সেচ, নিড়ানি ও করলা সংগ্রহ, বাজারজাতকরণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

ঘোড়াঘাটের ২৭ গ্রামের কৃষকরা এই মাচা পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের করলা চাষ করছে। গতবারের চেয়ে এ বছরে ৮০শতক জমিতে করলা চাষ করেছেন। বর্তমানে করলার ফলন ও দাম বেশী থাকায় খুশি কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলার মারুপাড়া, কৃষ্ণরামপুর, সোনারপাড়া, পাবর্তীপুর, বিন্যাগাড়ী, ডাঙ্গা, কুলান্দপুর, শ্রীচন্দ্রপুর, বেগুনবাড়ি, সালিকাদহ, উত্তর দেবীপুর, রঘুনাথপুর, চাঁদপাড়া, ঋষিঘাট, সাতপাড়া, লালমাটি শ্যামপুর, ভর্ণাপাড়াসহ প্রায় ২৭টি গ্রামের শতাধিক কৃষক করলার চাষ করছেন। 
লালমাটি শ্যামপুর গ্রামের মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, এবছর এক বিঘা জমিতে করলা চাষ করছেন। বর্তমানে তিনি করলা মন প্রতি  ১ হাজার ৬ শত থেকে ১ হাজার ৮ শত টাকা দরে বিক্রি করছেন। এবছরে বাজার দর ও আবহাওয়া ভালো থাকলে এ পরিমান জমিতে দেড় লক্ষাধিক টাকার মত করলা বিক্রি পারবেন। একই গ্রামের কৃষক মোজাইদুল ইসলাম বলেন, করলা চাষে গোবর সার, খৈল, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়।সেই জমিতে শীতকালীন ফসল আলু চাষে বেশি সার প্রয়োগ করতে হয় না।
ঘোড়াঘাট কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রেবেকা সুলতানা বলেন, জমি থেকে করলা উঠানো পর কৃষকেরা পটল,বেগুন, মরিচ, শাক সবজিসহ বিভিন্ন জাতের সবজির লাগাতে পারবেন।

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুজ্জামান জানান, স্থানীয় কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করছে কৃষি বিভাগ। গতবছর করলার চাষ হয়েছিল ৭৫হেক্টর জমিতে। এবছর করলা চাষ হয়েছে ৮০ হেক্টর জমিতে। এছাড়া ও খরিফ-১ খরিফ-২ ও রবি মৌসুম মিলে ১১৭১হেক্টর জমিতে বিভিন্ন রকমের  শাক-সবজি হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here