হিমশীতল আবহাওয়ায় লিওনেল মেসি খেলবেন না বলেই গুঞ্জন ছিল। যদিও সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছিলেন কোচ হ্যাভিয়ের মাশচেরানো। শেষ পর্যন্ত মাইনাস ১৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা উপেক্ষা করে খেললেন বিশ্বকাপজয়ী মহাতারকা। শুধু তাই নয়, জয়সূচক গোলটিও করলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে চিলড্রেন মার্সি পার্কে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের প্রথম লেগে স্পোর্টিং কানসাস সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। ৫৬তম মিনিটে অসাধারণ ব্যক্তিগত দক্ষতা দেখিয়ে স্পোর্টিং গোলরক্ষক জন পালস্ক্যাম্পকে পরাস্ত করে করেন মেসি।
এই জয় ইন্টার মায়ামিকে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা এনে দিয়েছে, যা তাদের আগামী মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠাতব্য দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে নামার আগে স্বস্তি দেবে। শেষ ষোলোতে ওঠার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হয়েছে দলটির।
এ দিনের ম্যাচটি আগের দিনই হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কানসাসে তুষারঝড়ের ফলে কয়েক ইঞ্চি পর্যন্ত বরফ জমে এবং তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণ নিচে নেমে যাওয়ায় ২৪ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়। তবে, সূচি পরিবর্তনের পরও প্রচণ্ড ঠান্ডা অব্যাহত থাকে। ম্যাচ শুরুর সময় তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গ্লাভস ও গলায় উষ্ণতা রক্ষার জন্য স্কার্ফ পরে মাঠে নামেন মেসি ও তার ইন্টার মায়ামি সতীর্থরা। এমনকি ঠান্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পুরো হাতা ও লম্বা লেগিংস পরেন উভয় দলের অনেক খেলোয়াড়ই।
গত মৌসুমে মেজর লিগ সকারের পশ্চিমাঞ্চলীয় কনফারেন্সে প্রায় তলানিতে ছিল স্পোর্টিং কানসাস সিটি, ৩৪টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র আটটি জিতে। অন্যদিকে, ইন্টার মায়ামি ২২টি জয় ও ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় কনফারেন্সের শীর্ষে ছিল, যা তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে।
প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময়েই মায়ামির কৌশলগত শ্রেষ্ঠত্ব স্পষ্ট ছিল। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে লুইস সুয়ারেজের শট সামান্য ব্যবধানে পোস্টের পাশ দিয়ে বাইরে চলে যায়। ৩৫তম মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেন সুয়ারেজ। তবে এবার তার নেওয়া শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ইন্টার মায়ামি। দূরপাল্লার একটি পাস বাড়িয়ে দেন সার্জিও বুসকেটস, যা মেসির কাছে পৌঁছায়। ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা প্রথমে বলটি বুকে নিয়ন্ত্রণে নেন, এরপর একটি নিখুঁত স্পর্শে কানসাস সিটির মিডফিল্ডার এরিক থমিকে পাশ কাটিয়ে গোলপোস্টের বিপরীত কোণে নিখুঁত শট নিয়ে বল জালে জড়ান।