মসলার গ্রাম কুষ্টিয়ার বড়িয়া

0

সরকারি প্রণোদনায় দেশের একমাত্র মসলা চাষের গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড়িয়া। এই গ্রামে প্রবেশ করলে রাস্তার দুই ধারে খাঁচা পদ্ধতিতে দারুচিনি, তেজপাতাসহ বিভিন্ন মসলার গাছ চোখে পড়বে। আধুনিক পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম, গোলমরিচ, জিরা, চুইঝালসহ মোট ১৪ পদের মসলার চাষ করছেন বড়িয়া গ্রামের কৃষক। ৬ হাজার মসলা গাছের চারা লাগানো হয়েছে এই গ্রামে। আবার বাড়ির উঠান, আঙিনা, পুকুরপাড়সহ পতিত জমিতে জিওব্যাগে চাষ হচ্ছে আদা ও হলুদ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের মধ্যে একটি গ্রামকেই (বড়িয়া) মডেল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। সরকারি প্রণোদনায় মডেল এই মসলার গ্রামে মসলা আবাদে যুক্ত হয়েছেন শতাধিক কৃষক। মহিরুল নামে একজন বলেন, কৃষি অফিসের তদারকিতে রাস্তার দুই ধারে তেজপাতা ও দারুচিনি গাছ লাগানো হয়েছে। আমার বাড়িসহ এই গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ির আশপাশে খালি জমিতে আদা, হলুদসহ বিভিন্ন মসলার চাষ হচ্ছে। কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, বাড়ির পাশের পতিত জমি পরিষ্কার করে জিও ব্যাগে আদা ও হলুদ চাষ করেছি। আমাদের কোনো খরচ নেই সব সরকার দিয়েছে। ফলন ভালো হলে এলাকার চাহিদা মিটবে। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুপালি খাতুন জানান, মসলা চাষের জন্য কুষ্টিয়ায় পাঁচটি স্থান নির্বাচনের পর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসে বড়িয়া গ্রামকে নির্ধারণ করে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ২৩ সালের জুলাই মাসে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বড়িয়া গ্রামে মসলার চাষ শুরু হয়। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের কার্যক্রম শেষ হবে ২০২৭ সালের শেষের দিকে। মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রাসেল আহমেদ বলেন, মডেল মসলা গ্রাম গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়ার বড়িয়া গ্রামকে বেছে নেওয়া হয়। এখানে মোট ১৪ ধরনের মসলার জাত চাষ হচ্ছে। এর সুফল আগামীতে কৃষকরা পাবেন। মডেল মসলা গ্রামে মসলা চাষের পাশাপাশি মসলার বীজ ও চারা বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here