মন্থর গতি সত্ত্বেও জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত

0

জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত। চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে গতি মন্থর সত্ত্বেও আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হারে এগিয়ে গেছে দেশটি। সম্প্রতি প্রকাশিত দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংকের পক্ষ থেকে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলেছে বাস্তব প্রবৃদ্ধির হার। 

তথাপি বছরজুড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রাখার মাধ্যমে ভারত বিশ্বের অন্যতম কার্যকর অর্থনীতি হিসেবে নাম লিখিয়েছে। তাছাড়া ভারত সরকার ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৯ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে অনুমান করেছিল। বেঙ্গালুরুভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ড. বিআর আম্বেদকর স্কুল অব ইকোনমিকসের উপাচার্য এনআর ভানুমূর্তি ভারতের প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘ভারত বছরজুড়ে চীনের তুলনায় অনেক ভালো করেছে। চীনকে মূলত প্রভাবিত করেছে কোভিড-১৯-বিষয়ক কঠোরতাগুলো।’ 

তিনি নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, “চীন রফতানির ওপরও ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, স্বাভাবিকভাবেই দেশটির রফতানির পরিমাণ কমেছে।”

দেবেন্দ্র কুমার আরও উল্লেখ করেন চলমান বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে মূলত বাহ্যিক চাহিদার ওপর নির্ভরশীল দেশগুলো বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের মতো বিশ্বব্যাপী চলমান ঘটনাগুলো দিয়ে ভারত খুব একটা প্রভাবিত নয়। তাই ভারত চীনের চেয়ে ভালো করেছে। এতে কোনও সন্দেহ নেই।

যদিও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জের ধরে ভারতের জন্য খুব একটা আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। কেননা অক্টোবর-ডিসেম্বরের নতুন তথ্যগুলো তুলে ধরছে, দেশটির উৎপাদনমুখী শিল্প খাত ১ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, যা টানা দ্বিতীয় প্রান্তিকে কমেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে এটি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ সংকুচিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, রফতানি হ্রাস ও সরবরাহ শৃঙ্খলজনিত সমস্যা অটোমোবাইল সেক্টরকে প্রভাবিত করেছে।

তাছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন সংহাতের চাপ সামলাতে উচ্চসুদের হার বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধিও শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে উঠছে। সূত্র: নিক্কেই এশিয়া, রয়টার্স

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here