মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব কমলেও ইরাকের স্থিতিশীলতা বা উন্নয়নে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন ইরাকের উপ-সংসদ স্পিকার মোহসেন আল-মান্দালাভি। তিনি বলেন, ইরাক এখন নিজস্ব কূটনৈতিক পথ খুঁজে নিচ্ছে এবং আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করছে।
মোহসেন আল-মান্দালাভি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে গাজা ও লেবাননে ইরানের সশস্ত্র মিত্রদের দুর্বল হয়ে পড়া এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিদ্রোহীদের হাতে পতন—এগুলো মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।
ইরাকের উপ-স্পিকার বলেন, আজ ইরাকে স্থিতিশীলতা ফিরেছে। বিদেশি কোম্পানিগুলো এখানে বিনিয়োগ করছে। ইরাক এখন আরব দেশগুলোর মধ্যে তার স্বাভাবিক ভূমিকা পালন করছে। তিনি আরও যোগ করেন, ইরান আমাদের ঐতিহাসিক প্রতিবেশী, কিন্তু আমাদের ভৌগোলিক অবস্থান এবং আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ভিন্ন।
ওয়াশিংটন এবং তেহরানের বিরল মিত্র ইরাক নিজের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনে মনোযোগ দিতে চায়। মোহসেন আল-মান্দালাভি বলেন, ইরানের দুর্বলতা ইরাকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
ইরাকের এই কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দেশটির আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল