গাজীপুরের কালীগঞ্জে মদ্যপ অবস্থায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে সুমন কস্তা (৪৫) নামের এক বাবুর্চি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সুমন কস্তা রাঙ্গামাটি এলাকার মৃত সুকণ্ঠ কস্তার ছেলে। তিনি পেশায় বাবুর্চি ছিলেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তার বন্ধু নন্দন ডি কস্তা (৪৬), একই এলাকার গিলবার্ট ডি কস্তার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে সুমন কস্তা তার বন্ধু নন্দন ডি কস্তার বাড়িতে যান। সেখানে দুজন একসঙ্গে মদ্যপান করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এরই জেরে নন্দন ডি কস্তা সুমন কস্তাকে বুকে, গলায় ও মুখে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্ত নন্দন ডি কস্তা নিহতের মরদেহ বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যান। পরে বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে স্থানীয় লোকজন পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত নন্দন ডি কস্তার বিরুদ্ধে আগেও ছুরিকাঘাত ও মারধরের অভিযোগ ছিল।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো জাকির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।

