২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করেছে ফিফা। সূচি ঘোষণার পর বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দুইটি দেশ নিয়ে বিপাকে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা
হাইতি ও ইরানকে ঘিরে এক জটিল অচলাবস্থায় পড়েছে ফিফা। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে গত ৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাহী আদেশে ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের করা হয়। যেখানে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া হাইতি ও ইরানের নামও আছে। যদিও সেই আদেশে জাতীয় ক্রীড়া দলের খেলোয়াড়, কোচ ও প্রয়োজনীয় সহকারীদের ছাড় দেওয়া হলেও সমর্থকদের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই।
এমন পরিস্থিতিতে এই দুই দেশের সমর্থকদের বিশ্বকাপ ম্যাচ দেখতে আসা নিয়ে শঙ্কা জেগেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকো ও কানাডা সহযোগী আয়োজক দেশ হলেও হাইতি ও ইরানের গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচই পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে।
এমন পরিস্থিতিতে এই দুই দেশের সমর্থকদের বিশ্বকাপ ম্যাচ দেখতে আসা নিয়ে শঙ্কা জেগেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকো ও কানাডা সহযোগী আয়োজক দেশ হলেও হাইতি ও ইরানের গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচই পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী খেলোয়াড়, কোচ, প্রয়োজনীয় স্টাফ ও তাদের নিকটাত্মীয়দের জন্য অনুমতি থাকলেও বিশ্বকাপ দেখতে দেশে আসতে চাওয়া সাধারণ সমর্থকদের জন্য কোনো বিধান নেই। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্রীড়া আসরকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল স্পেনের মানবাধিকার সমন্বয়ক কার্লোস দে লাস হেরাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অভিবাসননীতি—যার মধ্যে রয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, আটক বাড়ানো ও ভিসা সীমাবদ্ধতা—বিশ্বকাপের অন্তর্ভুক্তিমূলক চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। হাজারো সমর্থককে বাদ দিয়ে কোনো টুর্নামেন্টকে সর্বজনীন উৎসব বলা যায় না।
এমন পরিস্থিতিতে ফিফা এখনো প্রকাশ্যে কোনো অবস্থান জানায়নি। হাইতি ও ইরানের দলগুলোর প্রবেশ, এমনকি তাদের বিশ্বকাপ–ক্যাম্পের লজিস্টিকস নিয়েও কোনো তথ্য নেই, সবকিছুই যেন এক অনিশ্চয়তার মাঝে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে সমর্থকদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—এ নিয়েও ফিফা নীরব। সময় গড়ালেও এই ব্যাপারে সমাধানের আশ্বাস মেলেনি।
৫২ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরছে হাইতি। এমন পরিস্থিতে আগামী ১৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ফক্সবোরোতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হাইতি সমর্থকহীন ম্যাচে মাঠে নামবে কিনা তা নিয়েও আলোচনা চলছে। অন্যদিকে আগামী ১৫ জুন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লস অ্যাঞ্জেলেসে মাঠে নামবে ইরান।

