ভোলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জোয়ারের পানি বেড়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। মেঘনার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল। এতে কয়েক হাজর মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
বিশেষ করে চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ডালচর, চর পাতিলা, মনপুরা উপজেলার কলাতলিরচরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চরপাতিলায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৭/৮ ফুট পানি বেশি হয়েছে। এতে বাড়িঘর পুকুর রাস্তাঘাট সব ডুবে গেছে। মানুষজন বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে এবং গরু-মহিষ নিয়ে মুজিব কেল্লায় আশ্রয় নিয়েছে। জোয়ারের পানির চাপে ১৫টি ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছেন। আরও শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রবিবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির সংবাদ পাওয়া যায়নি।
এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, হালকা থেকে মাঝারি দমকা বাতাস বইছে। বাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চলে জোয়ারের সময় পানি উঠলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা নেমে গেছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় ৩ ধাপে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ভোলার জেলা প্রশাসক। দুর্যোগপূর্ব, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জেলার সাত উপজেলায় ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১২টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় জেলা শহরসহ সাত উপজেলায় আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।