বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দ্বীপ জেলা ভোলায় বৃহস্পতিবার রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার দিনভর চলছে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ। সেই সাথে থেমে থেমে বইছে দমকা হাওয়া। শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কৃষি বিভাগ আলুসহ বিভিন্ন রবি শস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছে।
এদিকে উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। তবে রাত থেকে মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে ।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ১২টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি এক হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত রাখার জন্য অবহিত করা হয়েছে। সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। ১৩ হাজার ৮৬০জন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকের তহবিলে ৩৪১ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২০ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের এক লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এছাড়া গভীর সমুদ্রে থাকা মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসতে সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।