ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম বলেছেন, আজ থেকে ভূমি সেবা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য ই-নামজারির আবেদন প্রক্রিয়া, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলা, ১৭টি রাজস্ব সার্কেল, ৮৯টি উপজেলা এবং ৭৫৩ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যা আগামী ২৮ মে পর্যন্ত চলবে।
সোমবার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য এসব কথা বলেন মো. সাবিরুল ইসলাম।
মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল ভূমি সেবাতে ঢাকা বিভাগ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে। বর্তমানে ঢাকা বিভাগে ২৫ দিনে নামজারি নিষ্পত্তি করা হয়, শতভাগ অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণ করা হয় এবং অনলাইনে ডি.সি.আর প্রদান করা হয়। ঢাকা বিভাগের সকল ভূমি অফিস ক্যাশলেস ঘোষণা করা হয়েছে। হয়রানি মুক্ত ভূমি সেবা গ্রহণে অনলাইনে শুনানি গ্রহণসহ অফিসের বাহিরে গণশুনানি করে সেবা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই ডিজিটাল সংযোগের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয় স্মার্ট ভূমি সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর। স্মার্ট ভূমি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় অনেকগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে স্মার্ট নামজারি, স্মার্ট ভূমি উন্নয়ন কর, রেজিস্টেশন-মিউটেশনের আন্তসংযোগ, স্মার্ট ভূমি রেকর্ড, স্মার্ট ভূমি পিডিয়া স্মার্ট ভূমি নকশাসহ অসংখ্যা উদ্যোগ। যা ২০২৬ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে।
কমিশনার সাবিরুল ইসলাম বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমি ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি ভূমি সংক্রান্ত আইন-কানুনের যুগোপযোগিকরণের মাধ্যমে ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার প্লাটফরম গড়ে তোলে। ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থপনার সুফল হিসেবে ই-নামজারি, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণ, অনলাইন সায়রাত মহাল, জলমহাল ব্যবস্থাপনা, ই-পর্চা, ই-নকশা গ্রহণসহ নানাবিধ ভূমি সেবা ঘরে বসে গ্রহণ করা যায়। এছাড়া ডাকসেবার মাধ্যমেও ভূমি সেবা দেয়া হয়।