ভুল তথ্য ছড়ানোর মাধ্যম হয়ে উঠছে এআই চ্যাটবট

0

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট প্রযুক্তি শুধু মিথ্যা সংবাদ ও প্রবন্ধ রচনাতেই থেমে নেই, বিজ্ঞানবিষয়ক ভুয়া গবেষণাপত্রও তৈরি করে অনলাইনে প্রকাশ করছে। সম্প্রতি সুইডেনের ইউনিভার্সিটি অব বোরসের একদল বিজ্ঞানী এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটি সমীক্ষা চালান। গুগল স্কলার সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে পরিচালিত এ সমীক্ষায় তারা শতাধিক সন্দেহজনক গবেষণাপত্র ও নিবন্ধ শনাক্ত করেছেন, যা মূলত এআই চ্যাটবট দিয়ে লেখা হয়েছে।  

বিজ্ঞানীদের মতে, অনলাইনে এমন অনেক বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ ও গবেষণাপত্র পাওয়া যাচ্ছে, যেগুলোর বেশিরভাগই বানোয়াট এবং কোনো ধরনের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ছাড়াই রচিত। এসব ভুয়া গবেষণাপত্র অনলাইনে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে কৌশলগত প্রভাব তৈরির উদ্দেশ্যে এ ধরনের নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়। তবে এগুলোর তথ্য ব্যবহারে রয়েছে বড় ধরনের ঝুঁকি।  

বিজ্ঞানী বিজোরন একস্ট্রোম এ বিষয়ে বলেন, বানোয়াট গবেষণাগুলো বিভিন্ন গবেষণার পক্ষে বা বিপক্ষে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হলে তা বিপজ্জনক হতে পারে। এটি ‘অ্যাভিডেন্স হ্যাকিং’ নামে পরিচিত এবং এর পরিণতি হতে পারে মারাত্মক। ভুল গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।  

এআই চ্যাটবট দিয়ে তৈরি ভুয়া গবেষণাপত্র ইতিমধ্যে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, অনলাইন আর্কাইভ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সমালোচনার মুখে কিছু নিবন্ধ সরিয়ে ফেলা হলেও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। এসব ভুল গবেষণার ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিলে তা কার্যকর সমাধান বা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে।  

বিশ্বব্যাপী অনলাইনভিত্তিক গবেষণায় বানোয়াট গবেষণাপত্র একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সমস্যা মোকাবিলায় কঠোর নীতিমালা গ্রহণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। নইলে বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাবে। 

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here