শুরুতে বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। শুরুর দিকেই আইরিশদের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রুও এনে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু এরপর পল স্টার্লিং ও অ্যান্ড্রু বলবার্নির ব্যাটে দারুণভাবে লড়াই করে স্বাগতিকরা। যদি
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তুলে ফেলেছে আয়ারল্যান্ড। স্টার্লিং ও বলবার্নি দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। স্টার্লিং ৭৩ বলে ৬০ রান এবং ৭৮ বলে ৫৩ রান করে সাঝঘরে ফিরেন অ্যান্ড্রু বলবার্ন।
প্রথম উইকেট হারানোর পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের সব বোলারকেই সাবলীলভাবে সামলে রানের চাকা সচল রাখেন পল স্টার্লিং ও অ্যান্ড্রু বলবার্নি।
এর আগে আজ রবিবার ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে আয়ারল্যান্ডের সামনে ২৭৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। সব উইকেট হারিয়ে এই রান করেছে সফরকারীরা। এই ম্যাচ জিতলে সিরিজ নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের।
প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয়টিতে কোনো বদল ছাড়াই নেমেছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে আসে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন। আঙুলের চোটে ছিটকে গেছেন সাকিব আল হাসান এবং বাদ পড়েছেন তাইজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম। ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান এবং অভিষেক হয়েছে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও রনি তালুকদারের। টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস উদ্বোধনে এসে পাওয়ার প্লের ঠিকঠাক ব্যবহার করেছিলেন রনি, ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ম্যাচে এসে অবশ্য তেমন কিছু করতে পারেননি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১ চারে ১৪ বল খেলে কেবল ৪ রান করেছেন রনি। এরপর অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গী হন নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত শতক করা এই ব্যাটার ৩২ বলে ৩৫ রান করে ক্রেইগ ইয়াংয়ের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন।
লিটন দাসও ৩৯ বলে ৩৫ রান করে ম্যাকব্রাইনের বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড অফে। ব্যাটারদের এই যাওয়া-আসার ভেতর এক প্রান্তে থেকে যান তামিম। যদিও অনেক ডট বল খেলেন তিনি। শুরুতে জীবন পাওয়ার পর ৯ ইনিংস পর এসে অবশ্য তামিম পান হাফ সেঞ্চুরির দেখা।
তবে নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহ তিন অঙ্কে নিয়ে যেতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৬ চারে ৮২ বলে ৬৯ রান করে জর্জ ডকরেলের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে গিয়ে শট ঠিকঠাক খেলতে না পেরে ক্যাচ দেন তিনি।
১ চারে ১৬ বলে ১৩ রান করে ডকরেলের বলেই বোল্ড হন তাওহীদ হৃদয়ও। ১৮৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু তারা দুজনও ইনিংসের শেষ অবধি টেনে নিতে পারেননি।
তাদের জুটিতে ৭৫ রান আসে। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫৪ বলে ৪৫ রান করে ম্যাকব্রাইনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মুশফিক আউট হলে এই জুটি ভাঙে। মৃত্যুঞ্জয়কে নিয়ে আর ৪ রান যোগ করে আউট হয়ে যান মিরাজও। ৩ চারে ৩৯ বলে তার ব্যাটে আসে ৩৭ রান। তাদের ফেরার পর বাংলাদেশের রানও আর বাড়েনি খুব একটা। অলআউট হয় সফরকারীরা।