ময়মনসিংহের ভালুকার চাঞ্চল্যকর অটোচালক কাউসার (১৫) হত্যার মুল হোতা আনিসুলকে র্যাব-১৪ এর একটি অভিযানিক দল। গত রাতে ত্রিশাল উপজেলা বালিদিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। আনিসুলকে গ্রেফতার করার পর এ হত্যার পুরো ঘটনা উন্মোচিত হয়েছে।
মামলা ও র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ অক্টোবর দুপুরে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের খন্দকারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমানের ছেলে কাউসার তার বাবার অটোরিক্সা নিয়ে বের হয়। রাত পর্যন্ত কাউসার বাড়িতে না ফিরলে লোকজন ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কাউসার নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর ১৬ অক্টোবর গাজীপুরের গজারিয়া এলাকার গাজারিবন থেকে পুলিশ কাউসারের লাশ উদ্ধার করে। ওইদিন ভালুকা মডেল পুলিশের মাধ্যমে লাশ উদ্ধারের খবর জেনে শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন বাবা মাতউর রহমান।
গ্রেফতারকৃত অপর আসামিরা হলেন ময়মনসিংহ সদরের বাবু খালি এলাকার আবু হানিফের ছেলে আলী হোসেন (১৯), ত্রিশালের মধ্য ভাটিরচর পারা গ্রামের মৃত আব্দুল সালামের ছেলে মনজুরুল হক (৩৩), নান্দাইলের কচুরি নয়া পারা গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে সুলতান (৩৮) ও গাজীপুরের জয়দেবপুরের নয়নপুর গ্রামের মৃত আলম ফকিরের ছেলে আশিক (২২)।
র্যাব-১৪ এর উপ পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, চক্রটি যাত্রী সেজে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড থেকে কাউসারের অটোরিকশা ভাড়া করে গাজীপুর সদর থানা এলাকার দিকে নিয়ে যায়। পরে চালক কাওসারের সঙ্গে কথাবার্তার একপর্যায়ে সেভেন আপের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ালে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। এমতাবস্থায় তাকে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।