সান্তিয়াগো বার্নাবেউয়ে ম্যাচের ৯৩ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ ছিল গোলশূন্য। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কোচ এর্নেস্তো ভালভার্দের কৌশল যেন রিয়াল মাদ্রিদকে থামিয়েই রেখেছিল। কিন্তু ইনজুরি সময়ে সব আলো কাড়লেন আরেক ভালভার্দে—ফেদেরিকো ভালভার্দে। তার অসাধারণ এক গোলেই ১-০ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় রিয়াল, বাঁচিয়ে রাখে লা লিগার শিরোপা জয়ের আশা।
উরুগুইয়ান এই মিডফিল্ডারের বাঁ পায়ের বাইরের দিক দিয়ে নেওয়া হাফ ভলিটা গিয়ে জালের উপরের কোণায় ঠেকতেই স্টেডিয়ামে শুরু হয় উল্লাস। চলতি মৌসুমে এটা তার ষষ্ঠ গোল হলেও, দীর্ঘদিন পর গোলের দেখা পেলেন তিনি। ডিসেম্বরে সেভিয়ার বিপক্ষে গোল করার পর থেকে তার গোলসংখ্যা ছিল শূন্য। তাই এমন সময়ে এমন গোল যেন স্বস্তির হাওয়া এনে দিল রিয়াল শিবিরে।
ম্যাচে অবশ্য ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপ্পে। আগের ম্যাচে আলাভেসের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় ছিলেন তিনি। এমবাপ্পে না থাকলেও, রিয়াল শুরু থেকেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। একের পর এক চেষ্টা করেছিলেন কামাভিঙ্গা, বেলিংহ্যাম, এমনকি ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও। কিন্তু বিলবাওয়ের গোলরক্ষক উনাই সিমনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বারবার হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের।
খেলার একপর্যায়ে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের একটি দুর্দান্ত গোল ভিএআরের সাহায্যে বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে। ওই সময় বল পাস দিয়েছিলেন তরুণ তারকা এন্দ্রিক, যার সামান্য অবস্থানেই ধরা পড়ে অফসাইড। এমনকি এক পর্যায়ে রিয়ালের পেনাল্টির দাবি রেফারি নাকচ করে দেন।
সবকিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছিল, চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্সেনালের কাছে ৫-১ ব্যবধানে হারের পর লিগেও হতাশা ঘনিয়ে আসছে। কিন্তু ভালভার্দের জাদুকরী মুহূর্তেই পাল্টে যায় গল্পের মোড়।
এই জয়ের ফলে ৩২ ম্যাচে রিয়ালের সংগ্রহ দাঁড়াল ৬৯ পয়েন্টে, চার পয়েন্ট পিছিয়ে বার্সেলোনার থেকে। তবে রিয়ালের হাতে রয়েছে আরও ছয়টি ম্যাচ।
এখন তাদের নজর কোপা দেল রে’র ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে মহারণে, যেখানে নির্ধারিত হতে পারে এই মৌসুমে কোচ কার্লো আনচেলত্তির ভাগ্য।