ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

0
ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। দেশটিতে কাশির সিরাপে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় এই সতর্কতা জারি করল সংস্থাটি। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গত এক মাসে এসব সিরাপ সেবনের পর বেশ কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, দূষিত ওই তিনটি কফ সিরাপ হলো- স্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের কোল্ডরিফ, রেডনেক্স ফার্মাসিউটিক্যালসের রেসপিফ্রেশ টিআর এবং শেপ ফার্মার রিলাইফ। এগুলোর নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্যাচের কফ সিরাপে মাত্রাতিরিক্ত দূষিত উপাদান পাওয়া গেছে।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সিরাপগুলোতে ডাইইথিলিন গ্লাইকল (নামের এক বিষাক্ত রাসায়নিকের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এই রাসায়নিক শিশুদের ক্ষেত্রে কিডনি বিকল হওয়াসহ মারাত্মক শারীরিক জটিলতা ও মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে অন্তত ১৯ জন শিশু কোল্ডরিফ সিরাপ সেবনের পর মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

তামিলনাড়ু রাজ্যের কানচিপুরামে অবস্থিত স্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের-এর লাইসেন্স ইতিমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

কোম্পানির মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, পাশাপাশি দু’জন ওষুধ পরিদর্শককেও দায়িত্বে গাফিলতির কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ভারতের ওষুধ তদারক কর্তৃপক্ষ সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) ডব্লিউএইচও–কে জানিয়েছে, এই কফ সিরাপ পানে সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওরা জেলায় যে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের সবার বয়স পাঁচ বছরের কম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এসব ওষুধ রফতানি করা হয়নি এবং বিষাক্ত পণ্যগুলো বাজার থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এটিই প্রথম নয়—ভারতে তৈরি কাশির সিরাপে এর আগেও বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

২০২৩ সালে ভারতের তৈরি কিছু সিরাপ উজবেকিস্তান ও গাম্বিয়াতে পাঠানো হয়েছিল, যেখানে ডজনখানেক শিশু মারা যায়।

২০২২ সালেও মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস-এর উৎপাদিত সিরাপে বিষাক্ত উপাদান শনাক্ত হওয়ার পর উৎপাদন বন্ধ করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এই ঘটনার পর থেকে তারা ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে উৎপাদিত সব তরল ওষুধের সরবরাহ চেইন কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে বলেছে।

সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে সতর্ক থাকতে এবং অবৈধ বা অপর্যাপ্তভাবে নিয়ন্ত্রিত ওষুধ সরবরাহের ঝুঁকি কমাতে আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here