বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন ভারতীয় সিনেমার প্রযোজক সরিফুল ধাবক। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি অফিশিয়াল বিবৃতি দেন তিশা।
তার দাবি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত অভিযোগগুলো পুরোপুরি মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং তার কর্মজীবন ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়েছে। তিনি জানান, আইনজীবীর মাধ্যমে চুক্তিপত্র যাচাই করে ছবিটির জন্য তিনি চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তিতে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল—বিদেশভ্রমণ, ভিসা, ফ্লাইট, থাকা-খাওয়া—সব দায়িত্ব পরিচালক ও প্রযোজকের।
অভিনেত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা আমার ভিসা করিয়ে দিতে পারেনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করেও ভিসা পাইনি। চুক্তি অনুযায়ী ভিসা-সংক্রান্ত সব দায়িত্ব পরিচালকের। তাই এ ব্যর্থতার দায় আমার নয়, এটি সম্পূর্ণ তাদের ব্যর্থতা।
তিশা জানান, ভিসার জন্য টানা প্রায় দুই মাস অপেক্ষা করেছেন তিনি। পরে জানতে পারেন, তার অপেক্ষার মধ্যেই টিম অন্য একজনকে নিয়ে শুটিং শুরু করেছে। এ কারণে তিনি বাধ্য হয়ে প্রজেক্টটি থেকে সরে আসেন।
অগ্রিম টাকা ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর দাবি, চুক্তিপত্রে কোথাও লেখা নেই যে, পরিচালকের ব্যর্থতার কারণে কাজ না হলে আমাকে টাকা ফেরত দিতে হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি। আদালত যদি প্রমাণ করে আমি টাকা ফেরত দিতে বাধ্য, তাহলে অবশ্যই ফেরত দেব।
তিশার অভিযোগ, তাদের লাইন প্রডিউসার (সরিফ) কখনো তার কাছে এক-তৃতীয়াংশ টাকা ফেরত দিতে বলেছেন, আবার কখনো তার আইনজীবীকে অন্য অঙ্ক বলেছেন। পাশাপাশি সাংবাদিকদের কাছে ভুল তথ্য ছড়িয়ে তার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন।
তার কথায়, সিনেমা আমার পেশাগত সম্মানের জায়গা। আমি কখনোই কোনো চলচ্চিত্রকে অসম্মান করিনি। ভিসা-জটিলতা তাদের কারণে হওয়ায় আমাকে বাধ্য হয়ে সরে আসতে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাস তিনেক আগে ভারতের বাংলা চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসার মরশুম’–এ অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন তিশা। কিন্তু শিডিউল মেলাতে না পারায় এবং ভিসা–জটিলতায় ছবিটির কাজ করতে পারেননি এই অভিনেত্রী। এরপর তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনেন ছবিটির প্রযোজক। এর জেরে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান তিনি।