ভাদ্র ফিরেছে স্বরুপে, খরতাপে রাস্তা ফাঁকা

0
ভাদ্র ফিরেছে স্বরুপে, খরতাপে রাস্তা ফাঁকা

বৃষ্টি-বন্যার রেশ কাটতে না কাটতে রংপুরসহ আশপাশ এলাকার প্রকৃতি রুক্ষ হয়ে উঠেছে। ভাদ্রের তালপাকা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মাঝে মধ্যে আকাশে মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ালেও বৃষ্টির তেমন একটা দেখা মিলছে না রংপুরে। এমন গরমে বাসার বাইরে শিশুদের অযথা না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা। তবে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সাথে ঝড়োবৃষ্টির পূবাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

রবিবার দুপুরে রংপুরনগরী ঘুরে দেখা গেছে, খরতাপের কারণে নগরীর প্রধান সড়ক স্টেশন রোড, জিএলরায় রোড, সেন্টাল রোডসহ বিভিন্ন সড়কে জনসমাগম একেবারে কম। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। অনেকটাই অতিষ্ঠ জনজীবন। রোদের তাপে সকলেই একটু ছায়ার জন্য পাগল। অনেকে মসজিদে নামাজ শেষে মেঝেতেই শুয়ে পড়ছেন ক্লান্তি কাটানোর জন্য। ডাব, কোমল পানীয় জাতীয় পণ্যের কেনা বেচা বেড়েছে। প্রকৃতির রুদ্ররূপে চলাফেরা ও কাজকর্ম করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। ছায়ায় দাঁড়িয়েও শরীর থেকে ঘাম বের হচ্ছে। সড়কের পাশে পান দোকানি আব্দুল মালেন বলেন, রোদ এবং গরমের কারণে লোকজন অনেক কম। ফলে বেচা-বিক্রিও কমে গেছে। 

রিকশা চালক হামিদ মিয়া বলেন, নিচ থেকে আসছে সড়কের তাপ আর উপর থেকে আসছে সূর্যের তাপ। দুইয়ে মিলে জীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এমন গরম হলে সড়কে টেকাই মুশকিল। এদিকে গরমের প্রভাবে বিক্রি বেশী হচ্ছে কোল্ড ড্রিংক্স, জুস ও স্যালাইনের। গরমের কারণে দুপুরের রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ক্রেতার সমাগম নেই বললেই চলে। 

রংপুরে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চিল ৩৭ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রবিবার দুপুর তিনটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। 

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান,  তাপমাত্রা বাড়লেও দুই একদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here