ভাঙ্গুড়ায় যুবদল নেতার পিতাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি

0

পাবনার ভাঙ্গুড়া খানমরিচ ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মো: আল-মামুন হোসেনের পিতা সেকেন্দার আলীকে (৫৫) মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায় খানমরিচ ইউনিয়নের কয়ড়া বাজারের সেকেন্দার আলীর ওষুধের দোকানে। এ ঘটনায় সেকেন্দার আলী ওইদিন রাতেই চারজনের নাম উল্লেখ করে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সেকেন্দার আলী কয়ড়া গ্রামের ছাদেক সরকারের ছেলে ও ওষুধ ব্যবসায়ী।

অভিযোগে উল্লেখ করেন, কয়ড়া ছাড়া নাসির আলিম মাদ্রাসার সভাপতি হাজী মো: আব্দুল হাই এবং দাতা সদস্য হাজী আবুল কাশেমের নামে সেকেন্দার মাদ্রাসার কমিটি সংক্রান্ত পাবনা বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করেন। মামলা দায়ের করার পর থেকে সভাপতি ও দাতা সদস্যের পক্ষ থেকে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি ও চাপ প্রয়োগ করে তাদের লোকজন। এতেও সেকেন্দার আলী মামলাটি তুলে না নিলে রবিবার সন্ধ্যায় কয়ড়া গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে মজনু আলী (৫০) ও আ: আজিজ (৪০), সবুল্লাহ প্রামানিকের ছেলে আবুল হোসেন (৭০) এবং আ: আজিজ এর ছেলে মুন হোসেন (২০) মাদ্রাসার সভাপতি ও দাতা সদস্যের পক্ষ হতে সেকেন্দারের দোকানে এসে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করে। এতে সেকেন্দার আলী রাজি না হলে এর এক পর্যায়ে তারা চারজন মিলে সেকেন্দারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ কিল ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলাফুলা জখম করে। পরের স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

কয়ড়া ছাড়া নাসির আলিম মাদ্রাসা সভাপতি হাজী মো: আব্দুল হাই সরকার তার ও দাতা সদস্য হাজী আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সেকেন্দারকে মারপিট ও হুমকির বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। যারা হামলা করেছে তারা হয়তো আমাদেরকে ফাঁসাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাদের নাম ব্যবহার করেছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here