চলমান আন্দোলনের মাঝেই হঠাৎ করেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ নিয়ে দলীয় সিনিয়র নেতাকর্মীদের মাঝে চরম অসন্তোষ ও মারাত্মক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
দলের সিনিয়র নেতারা বলেন, দুঃসময়ে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে রাজনীতির সাথে উতপ্রোতভাবে জড়িত নয় এমন কাউকে আহ্বায়ক করা রাজনৈতিক ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে।
এর আগে ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। আগের আহ্বায়ক কমিটির গঠনের প্রায় তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় আবার আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। তবে বর্তমান আহ্বায়কের পদ পাওয়া অ্যাড. আবদুল মান্নানকে নিয়ে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা অসন্তুষ্ট।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর জিল্লুর রহমানকে আহ্বায়ক করে জেলা বিএনপির ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। কিন্তু আড়াই বছর পার করলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি জেলা বিএনপির ওই আহবায়ক কমিটি। গত ২৯ মে অসুস্থতাজনিত কারনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান (৭৫)। এরপর থেকে আহ্বায়ক ছাড়াই চলছিল জেলা বিএনপির রাজনীতি।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, যার রাজনৈতিক অঙ্গনে বিচরণ নেই। এ ধরণের ব্যক্তিকে আহ্বায়ক করা রাজনৈতিকভাবে বিব্রতকর। এতে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে এ ধরণের কমিটি গঠন রাজনৈতিক ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে। এই কমিটি বাতিল করে নতুন করে ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হোক।