চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার লড়াই চলছে কেন উইলিয়ামসনের। সেই পথে বড় একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান। লম্বা সময় পর ব্যাট হাতে নেটে ফিরেছেন। খেলেছেন কয়েকটি থ্রোডাউন। যে অনুভূতি তার কাছে দারুণ।
গত এপ্রিলে ডান হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর এখন সেরে ওঠার পথে উইলিয়ামসন। দীর্ঘ বিরতি শেষে মঙ্গলবার (০১ পহেলা আগস্ট) প্রথম ব্যাট হাতে নেটে যান তিনি। ব্যাটিংয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেন, কয়েকটি থ্রো খেলার জন্য ব্যাট হাতে নেটে ফেরা দারুণ অনুভূতির।
ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়ে দেশে ফেরেন তিনি ক্রাচে ভর দিয়ে। বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেন, তার এন্টিরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) ছিঁড়ে গেছে। অস্ত্রোপচার করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। পরের মাসে শল্যবিদের ছুরিকাঁচির নিচে যান উইলিয়ামসন।
অস্ত্রোপচারের পর এই ধরনের চোট থেকে সেরে উঠতে সাধারণত ৬ মাসের মতো সময় লাগে। এতে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে উইলিয়ামসনকে পাওয়া নিয়ে জাগে শঙ্কা। গণমাধ্যমে তখন খবর ছড়ায়, খেলোয়াড় হিসেবে না হলেও মেন্টর হিসেবে বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে যেতে পারেন উইলিয়ামসন।
তবে চোটে পড়ার পরপরই উইলিয়ামসন বলেছিলেন, দ্রুত মাঠে ফিরতে হাল ছাড়বেন না তিনি। গত জুনে তিনি বলেন লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা। বিশ্বকাপের বাকি আর দুই মাস। এই সময়ে উইলিয়ামসনের ব্যাটিংয়ে ফেরা নিউজিল্যান্ড দলের জন্য নিঃসন্দেহে স্বস্তির খবর। আগামী ৫ অক্টোবর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে কিউইদের বিশ্বকাপ অভিযান।
২০১৫ বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের ফাইনাল খেলার পথে উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল উইলিয়ামসনের। গত বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বেই ফাইনাল খেলে মূল ম্যাচ ও সুপার ওভার টাই হওয়ার পর বাউন্ডারির সংখ্যায় হারের বেদনায় নীল হয় কিউইরা। নেতৃত্বের উজ্জ্বল রেকর্ডের পাশাপাশি তার নিজের ব্যাটিং পারফরম্যান্সও দারুণ এই সংস্করণে।
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ১৬১ ম্যাচ খেলে ৪৭.৮৩ গড়ে ৬ হাজার ৫৫৪ রান করেছেন উইলিয়ামসন। তার নামের পাশে ১৩ সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ৪২ ফিফটি।