সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। প্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞ চিকিৎসক, সেবিকা এবং টেকনোলজিস্ট না থাকায় সেবা নিতে রোগীরা প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি ভুল চিকিৎসায় প্রসূতিসহ নব জাতকের মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে।
প্রতিষ্ঠানগুলির অবকাঠামো, অপারেশন কক্ষ এবং চিকিৎসা সেবা দিতে আসা চিকিৎসকদের মান নিয়েও অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েসেশন বীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ জাকারিয়া ডালিম জানান, বেশিরভাগ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সরকারি অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে সরকারের অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। সবাই যেন সরকারি নিয়ম মেনে ব্যবসা করেন সে ব্যাপারে সবাইকে তাগাদা দিয়ে আসছি। পাশাপাশি অনিয়ম বন্ধে সরকারি যে কোন উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।
সাধারণ মানুষের অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মোহাম্মদ মহসীন জানান, উপজেলায় ক্লিনিক রয়েছে ১৩টি এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১৯টি। মাত্র দুইটি ছাড়া বাকি কোন প্রতিষ্ঠানের সরকারি অনুমোদন নেই। আমরা এ সব অঅনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। অভিযানে প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা প্রদান করা হয় পাশাপাশি সরকারি অনুমোদন নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। চলমান অভিযানে পৌর শহরের হৃদিতা ক্লিনিক এবং মা ও শিশু হাসপাতাল নামে দুইটি ক্লিনিক এবং রোগ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ সাপোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং হক ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ না রেখে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে, নির্দেশনা পেলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।