বোলিংয়ে ঝলক দেখিয়ে রিশাদের আবারও ৩ উইকেট

0

বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই উইকেট। প্রথম ওভারে আরেকটি। দ্বিতীয় ওভারে শিকার একটি। পরের দুই ওভারে কিছুটা খরুচে বোলিং করলেন রিশাদ হোসেন। তারপরও তার বোলিং ফিগার রইল দারুণ।

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্সের আরেকটি জয়ে বড় অবদান রাখলেন রিশাদ। করাচি কিংসের বিপক্ষে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ৬৫ রানে জয়ের ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিলেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার। নিজের প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে উইকেট তিনটি নেন রিশাদ। পরের দুই ওভার মিলিয়ে দেন ২২ রান। চার ওভারে তার খরচ মোট ২৬ রান। ‘ডট’ বল খেলান ১৪টি।

আসরে দুই ম্যাচ খেলে তার উইকেট হলো ৬টি। পাকিস্তানের লেগ স্পিনার আবরার আহমেদের সঙ্গে যৌথভাবে আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনিই। আগের ম্যাচে টুর্নামেন্টটিতে অভিষেকে চার ওভারে ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটার।

হারে আসর শুরুর পর টানা দ্বিতীয় জয় পেল তার দল লাহোর। করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ফখর জামান ও ড্যারিল মিচেলের পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসে ২০১ রানের পুঁজি গড়ে করাচিকে ১৩৬ রানে গুটিয়ে দেয় শাহিন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন দলটি। ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৪৭ বলে ৭৬ রান করে ম্যাচের সেরা ওপেনার ফাখার। ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ বলে ৭৫ রান করেন মিচেল।

প্রথম ওভারে ডেভিড ওয়ার্নার ও জেমস ভিন্সকে ফিরিয়ে করাচিকে বিপাকে ফেলে দেন শাহিন আফ্রিদি। সপ্তম ওভারে আসিফ আফ্রিদির শিকার টিম সাইফার্ট। পরের ওভারে বল হাতে পান রিশাদ। তার প্রথম বলে রিভার্স সুইপের চেষ্টায় কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন শান মাসুদ। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে সফল হয় লাহোর।

দ্বিতীয় বলে খুশদিল শাহ নেন এক রান। পরের দুই বলে কোনও রান নিতে পারেননি ইরফান খান। ধৈর্য হারিয়ে পঞ্চম বলে বেরিয়ে এসে খেলে লং-অনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। ওই ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে দুইটি শিকার ধরেন রিশাদ।

পরের ওভারে সিকান্দার রাজা ফিরিয়ে দেন আরাফাত মিনহাসকে। রিশাদ নিজের পরের ওভারে প্রথম চার বলে দেন তিন রান। পঞ্চম বলে বিদায় করে দেন আব্বাস আফ্রিদিকে। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দেন ব্যাটসম্যান। এই ওভারে একটি উইকেট নিতে রিশাদ দেন ৩ রান। তার বোলিং ফিগার তখন ২-০-৪-৩!

টানা তৃতীয় ওভারে বোলিং এসেও শুরুটা ভালো করেন তিনি। প্রথম তিন বলে কোনো রান নিতে পারেননি হাসান আলি। তবে পরের দুই বলে ছক্কা ও চার মারেন তিনি। এই ওভারে আসে ১১ রান।

নিজের কোটার শেষ ওভারটি রিশাদ করেন ইনিংসের পঞ্চদশ ওভারে। এবার প্রথম বলে চার ও শেষ বলে ছক্কা মারেন খুশদিল। শেষ বলটিতে অবশ্য উইকেটও পেতে পারতেন রিশাদ। ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারিতে রাজা বল মুঠোয় জমালেও সীমানা দড়ি পার হয়ে যান তিনি। একটি লেগবাইসহ এই ওভারে আসে মোট ১২ রান।

এদিন রিশাদের মতো ৩টি উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদিও। এই পেসার চার ওভারে দেন ৩৪ রান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here