বেশিক্ষণ ব্যায়াম করে বিপদ ডাকছেন না তো?

0
বেশিক্ষণ ব্যায়াম করে বিপদ ডাকছেন না তো?

শরীর সুস্থ সবল রাখতে ব্যায়াম অপরিহার্য। ব্যয়াম করলে যেমন শরীর ভালো থাকে তেমনই অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে সেটিও আবার ভালো নয়। শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন কতক্ষণ ব্যায়াম করা উচিত? ২৫ মিনিট, ৪৫ মিনিট, নাকি ৬০ মিনিট? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং ব্যায়ামের ধরন অনুযায়ী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সুপারিশ করেছে যে, সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার শারীরিক কার্যকলাপ অথবা প্রতিদিন প্রায় ২৫-৩০ মিনিটের উচ্চমাত্রার ব্যায়াম সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে যথেষ্ট।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিন ৩০-৪৫ মিনিটের মাঝারি ব্যায়াম যথেষ্ট। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং সামগ্রিক ফিটনেস বাড়াতে সাহায্য করে। ওজন কমানো বা স্ট্যামিনা বাড়ানোর লক্ষ্য থাকলে, ব্যায়ামের সময় ৬০ মিনিট পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।

ব্যস্ত দিনে মাত্র ২৫ মিনিটের ফোকাসড, উচ্চমাত্রার ব্যায়ামও মানসিক চাপ কমাতে দারুণ কাজ করে। মূল কথা হলো, ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটা জরুরি। হাঁটা, সাইকেল চালানো, যোগব্যায়াম, বা স্ট্রেন্থ ট্রেনিং যেকোনো একটি রুটিন প্রতিদিন বজায় রাখলেই সুফল পাওয়া সম্ভব। কার্ডিও ও স্ট্রেন্থ ট্রেনিং একত্রে করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়। সপ্তাহে দু’বার ৬০ মিনিটের কম্বাইন সেশন শরীরের সামগ্রিক ফিটনেস উন্নত করে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আলাদা দিন নির্ধারণ করে আলাদা আলাদা ব্যায়াম করা উচিত। যেমন একদিন কার্ডিও, একদিন স্ট্রেন্থ ট্রেনিং এবং মাঝে একটি বিশ্রামের দিন রাখা উচিত। বিশ্রামের মাধ্যমে শরীর আবার গঠন হয় এবং ইনজুরি কমে।

যাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, তাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়ামের পরিকল্পনা করা উচিত। ব্যায়াম শুরুর আগে ছোট ছোট সেশন দিয়ে শুরু করা এবং দেহের ইঙ্গিত শোনা জরুরি।

২৫, ৪৫ বা ৬০ মিনিট যাই হোক না কেন, মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নিয়মিত থাকা। যেকোনো ধরনের নড়াচড়া স্থির থাকার চেয়ে অনেক ভালো। সুস্থ জীবনের জন্য সক্রিয় থাকাই সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here