বেনজীরের ও তার পরিবারের যেসব জিনিস জমা হলো ত্রাণ তহবিলে

0
বেনজীরের ও তার পরিবারের যেসব জিনিস জমা হলো ত্রাণ তহবিলে

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন গুলশানের চারটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ মালামাল সরকারি ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

আদালতের নির্দেশনায় গত ১৪ ডিসেম্বর এসব মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভান্ডারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তরের জন্য চিঠি পাঠায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত (আদেশ নং-১৮) এর নির্দেশ অনুযায়ী দুদক কর্তৃক বাজেয়াপ্ত মালামাল নিলামের পরিবর্তে জনস্বার্থে ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদকের আবেদনে বলা হয়, আবাসিক এলাকায় প্রকাশ্য নিলাম নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিপুল পরিমাণ কাপড় ও তৈজসপত্র নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করেন।

গুলশানের ‘র‍্যাংকন আইকন টাওয়ার’-এর ১২/এ, ১২/বি, ১৩/এ ও ১৩/বি নম্বর ফ্ল্যাটে পাওয়া মালামালের তালিকা বেশ দীর্ঘ। চারটি ফ্ল্যাট থেকে মোট ৫৮৩টি শাড়ি জব্দ করা হয়। এছাড়া বিপুল সংখ্যক টপস, থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গা পাওয়া গেছে। বিভিন্ন কক্ষ থেকে জব্দ করা হয়েছে মোট ১১৯টি শার্ট, ১২৮টি পুরুষ প্যান্ট ও ৩৩৫টি লেডিস প্যান্ট। বড় গেঞ্জি, ছোট গেঞ্জি ও টি-শার্ট মিলিয়ে পাওয়া গেছে ১ হাজার ৩২৭টি পোশাক। এছাড়া ১১৮টি পাঞ্জাবি এবং ১৭৯ জোড়া স্যান্ডেল, কেডস ও জুতা জব্দ করা হয়।

রান্নাঘর ও স্টোররুমে পাওয়া গেছে দামি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, যার মধ্যে রয়েছে বার্নার, ওভেন, এয়ার ফ্রায়ার, কর্ডলেস টেলিফোন ও ভ্যাকুয়াম ক্লিনার। ১৩/এ ফ্ল্যাটের নামাজের ঘর থেকে জব্দ করা হয়েছে ৩২টি আতর/পারফিউম, ১১টি জায়নামাজ ও ৪৮টি তসবিহ। পাশাপাশি পুলিশের লোগোযুক্ত মগ, ট্রাভেল ট্রলি ও বিভিন্ন শোপিসও তালিকাভুক্ত রয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হকের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের একটি কমিটি এসব মালামাল গ্রহণ ও হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। 

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী-  নিলামযোগ্য মালামালের কিছু নমুনা সংরক্ষণ করে বাকি পচনশীল দ্রব্য, ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত কাপড় এবং তৈজসপত্র প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভান্ডারে জমা দেওয়া হয়েছে।

দুদক জানায়- এই উদ্যোগের মাধ্যমে সাবেক ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগকৃত অবৈধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ সরাসরি জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহৃত হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here