বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা এখন আর বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই না, তাকে মুক্ত করবো। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত করে, জনগণকে দুঃশাসনের হাত থেকে রক্ষা করার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকেও মুক্ত করবো। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ আজ মাঠে নেমে এসেছে। আমরা বলছিনা যে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানান। বলছি না যে আমাদের মন্ত্রী বানান। আমরা বলছি, আমাদের ভোটের অধিকারটা দেন। ভোটের অধিকার চাইলেই পোশাকধারীরা আমাদের পেছনে লেগে যাচ্ছে। এ যেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, আমাদের শোষণ ও শাসন করছে। স্পষ্ট করে বলতে চাই আমরা কারও রাজত্বে বসবাস করি না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক খালি হয়ে গেছে। রিজার্ভ নাই। সমস্ত কিছু ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ডলারের দাম বেড়ে গেছে। আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক সমস্যায় পড়ে যাবে দেশ। মির্জা আব্বাস বলেন, জনগণের লুট করা টাকা ফেরত নিয়ে আসেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে সংসদ ভেঙে দিয়ে জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দিন। জনগণ মাফ করলেও করতে পারে।
বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পাশ্চাত্যের গণতন্ত্রের রীতিনীতি মেনে এখন আন্দোলন করছি। কিন্তু যেখানে সার্জারি দরকার সেখানে বছরের পর বছর হোমিওপ্যাথি ডোজ দিলে কাজ হবে না। এখন মার দিতে আসলে পাল্টা মার দিতে হবে। সুতরাং এখন থেকে আন্দোলন হবে ডু অর ডাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে আমরা মুক্ত করতে চাই। দেশ যদি মুক্ত হয়, জনগণ যদি মুক্ত হয়, বেগম খালেদা জিয়াও মুক্ত হবে।