বিশ্বের শীর্ষ ধনী তিনি। তবে ভিডিও গেমসে লাইভস্ট্রিমের সময় বারবার পরাজিত হচ্ছিলেন। সেই সাথে তার দিকে ধেয়ে আসছিলো মন্তব্যকারীদের উপহাস আর কটাক্ষ। হার আর উপহাস মেনে নিতে না পেরে গেমস থেকেই রেগেমেগে বেরিয়ে যান তিনি।
ঘটনাটি মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের। তিনি স্টারলিংকের ইন-ফ্লাইট ওয়াইফাই প্রদর্শনের জন্যই তার প্রাইভেট জেট থেকে ‘পাথ অব এক্সাইল ২’ গেমটি খেলে সরাসরি সম্প্রচার করেন। এ সময় তিনি প্রায় ৯০ মিনিট ধরে চুপচাপ খেলার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তার চরিত্রটি বারবার মারা পড়ছিল। যদিও মাস্কের দাবি ছিল যে তিনি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন।
মাস্ক এই গেমটি খেলার সময় গেমের চ্যাট অপশন সবার জন্য খোলা রেখেছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হন। তার গেম খেলার দক্ষতা ও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তীব্র বিদ্রূপ আসতে থাকে।
একটি বার্তায় যা মাস্কের মাথার পাশে স্ক্রিনে দেখা যায়, লেখা ছিল ‘তুমি সবসময় অনিরাপদ বোধ করবে এবং তা কখনো দূর হবে না।’
অন্য একজন ব্যবহারকারী, যিনি নিজেকে একজন রক্ষণশীল প্রভাবশালী হিসেবে পরিচয় দেন এবং দাবি করেন যে তিনি মাস্কের ১৩তম সন্তানের মা। তিনি লেখেন ‘ইলন। আমি, অ্যাশলি সেন্ট ক্লেয়ার। তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করার আর কোনো উপায় ছিল না, তাই আমি পিওই২-এর প্রাথমিক সংস্করণ কিনে নিয়েছি। অনুগ্রহ করে শিশুসন্তানের খরচ দাও। ধন্যবাদ ইলন।’
আরো এক বার্তায় বলা হয়, ‘মাস্ক যেন ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হন যাতে প্রেসিডেন্ট হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।’ অন্য একটি মন্তব্যে তার বিচ্ছিন্ন কন্যা ভিভিয়ান উইলসন পরিচয় দেওয়া একজন লেখেন, ‘মাস্ক ভিডিও গেমে সত্যিই খারাপ।’
কেউ কেউ তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করে বলেন, যেন তিনি ইন-গেম চ্যাট বন্ধ করে দেন যাতে অপমানজনক বার্তা আর না আসে।
তবে খেলার মৌলিক নিয়ন্ত্রণ শেখানোর জন্য নির্ধারিত অংশে ‘বস’ তার চরিত্রটিকে বারবার মেরে ফেলার কারণে মাস্ক তার খেলা বন্ধ করে দেন এবং বলেন যে, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যদিও স্ট্রিমটি তখনও লাইভ অবস্থায় ছিল।
‘পাথ অব এক্সাইল ২’ মাস্কের জনপ্রিয় গেমগুলোর একটি। তবে তিনি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন হওয়ার যে দাবি করেছেন, তা খুব একটা গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, বিশেষ করে যখন শোনা যায় তিনি নিজের গেম চরিত্র উন্নত করতে টাকা দিয়ে অন্যদের সাহায্য নিয়েছেন।
সূত্র: টেলিগ্রাফ