বুর্জ আল আরব, দুবাইয়ের আইকনিক হোটেল। জমকালো বিভিন্ন আয়োজনের জন্য বিখ্যাত এটি।
এবার অনন্য রেকর্ডের সাক্ষী হল বুর্জ আল আরব। হোটেলটির হেলিপ্যাডে বিমান অবতরণ (বুলসি ল্যান্ডিং) করে রেকর্ড গড়লেন এক পোলিশ পাইলট। স্থানীয় সময় ১৪ মার্চ সকাল ৬টা ৫৮ মিনিটে এই ঐতিহাসিক রেকর্ড করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে মাত্র ২৭ মিটার ব্যাসের ওই হেলিপ্যাডে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বিমান অবতরণ ও উড্ডয়নের কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি।
চেপিলা একজন প্রাক্তন রেড বুল এয়ার রেস চ্যালেঞ্জার ক্লাস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন। তার কাব ক্রাফটার এসটিওএল (কার্বন কাব/শর্ট টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং) বিমানটিকে ৪৩ কিলোমিটার ঘণ্টা বেগে মাত্র ২০.৭৬ মিটারের মধ্যেই থামাতে সক্ষম হন।
খুব সহজেই এই দুঃসাধ্য সাধন করেননি চেপিলা। চূড়ান্ত এই কাজের আগে মাটিতে ৬৫০ বার চেষ্টা করেছেন তিনি। এরপর প্রথমবারেই সফলতা পাননি তিনি। পরপর দু’বার বিমানটি অবতরণে ব্যর্থ হলেও তৃতীয়বার সফল হন তিন।
যদিও এটি স্টান্ট বিমান এবং এটি সাধারণ পরিস্থিতিতে আকস্মিক অবতরণের জন্য ডিজাইন করা। তারপরও ৫৬-তলা উঁচু ভবনের উপরের অংশে বাইরের পাশে অবস্থিত মাত্র ২৭ মিটার ব্যাসের হেলিপ্যাডে, প্রত্যক্ষ কোনও সংকেত ছাড়াই বিমানটিকে অবতরণ করে অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন চেপিলা।
অবতরণের পর পেশায় এয়ারবাস এ৩২০-এর ক্যাপ্টেন চেপিলা বলেছেন, “এটি সবচেয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। এখানে কোনও বাহ্যিক রেফারেন্স ছিল না, যা সাধারণত বিমানবন্দরের শত শত মিটারের রানওয়েতে থাকে।”
চেপিলা এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটির জন্য ২০২১ সাল থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এজন্য তিনি পোল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দুবাইতে গ্রাউন্ড লেভেলে ৬৫০ বার টেস্ট ল্যান্ডিং (পরীক্ষামূলক অবতরণ) সম্পন্ন করেছেন, যাতে কোনও ভিজ্যুয়াল রেফারেন্স ছাড়াই হেলিপ্যাডে অবতরণে তার আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়।
চেপিলা বলেন,“সাধারণভাবে, বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছে যাওয়ার সময় সহজেই দেখতে পাই যে আমি কতটা উপরে আছি এবং অ্যাপ্রোচ পথ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কিন্তু এখানে মাটি ছিল ২১২ মিটার নীচে, এবং হেলিপ্যাডটি বিমানের সম্মুখভাগের কারণে অদৃশ্য হয়ে যায়। এতে আমার পরিধি কম হয়ে যায়। যেহেতু রেফারেন্স অদৃশ্য হয়ে যায়, তাই স্থান ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই বিমানটিকে থামানোর জন্য আমাকে অনুশীলন এবং অনুমানের উপর নির্ভর করতে হয়েছিল।” সূত্র: খালিজ টাইমস, গালফ নিউজ