দ্রুত বাড়তে থাকা হিউম্যানয়েড রোবট (মানবাকৃতির রোবট) শিল্প নিয়ে এবার সতর্ক করল চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা কমিশন। সম্প্রতি এক ব্রিফিংয়ে তারা জানিয়েছে, এই খাতে বিনিয়োগ এত দ্রুত বাড়ছে যে বাজারে ‘বাবল’ বা অযৌক্তিক ফোলাভাব তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
চীনের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফর্ম কমিশনের মুখপাত্র লি চাও বলেন, নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পে সাধারণত ‘দ্রুত বৃদ্ধি আর ঝুঁকি’র মধ্যে সামঞ্জস্য রাখা কঠিন হয়। একই সমস্যায় পড়তে পারে হিউম্যানয়েড রোবট খাতও। বর্তমানে চীনে ১৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান মানবাকৃতির রোবট তৈরি করছে এবং এই সংখ্যা আরও বাড়ছে। লি চাওয়ের মতে, বাজারে একই ধরনের অসংখ্য রোবট মডেল আসতে থাকলে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জায়গা সংকুচিত হবে।
এ খাতকে ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ছয়টি প্রধান চালকের একটি হিসেবে বিবেচনা করছে চীন। ২০৩০ পর্যন্ত উন্নয়ন পরিকল্পনায় বেইজিং বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
অন্যতম প্রধান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিটিগ্রুপের ধারণা, আগামী বছর চীনে হিউম্যানয়েড রোবট উৎপাদন ‘অতিরিক্ত দ্রুত’ বাড়তে পারে। উবটেকের মতো কোম্পানি বিলিয়ন ইউয়ান মূল্যের অর্ডার পেলেও এখনো ঘরোয়া বা শিল্পখাতের নিয়মিত কাজে রোবট ব্যবহারের ব্যাপক প্রসার ঘটেনি।
এদিকে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহে চীনের হিউম্যানয়েড রোবট–সম্পর্কিত কোম্পানিগুলোর শেয়ার সূচক সোলঅ্যাকটিভ চায়না হিউম্যানয়েড রোবোটিকস ইনডেক্স এ বছর প্রায় ২৬% বেড়েছে।
লি চাও জানান, সরকার দ্রুত একটি সুশৃঙ্খল বাজার কাঠামো গড়ে তুলতে চায়, যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী কোম্পানি বাজারে প্রবেশ বা প্রস্থান করতে পারে এবং প্রতিযোগিতা ন্যায্য থাকে। পাশাপাশি মূল প্রযুক্তির গবেষণা বাড়ানো, রোবট পরীক্ষার পরিকাঠামো গড়ে তোলা এবং দেশজুড়ে প্রযুক্তিগত সম্পদ ভাগাভাগি করার পরিকল্পনাও করছে সরকার। তিনি বলেন, এসব উদ্যোগ বাস্তব জীবনে হিউম্যানয়েড রোবট ব্যবহারের পথ আরও সহজ করবে।

