বীর মুক্তিযোদ্ধা রত্তন আলীর দাফন সম্পন্ন

0
বীর মুক্তিযোদ্ধা রত্তন আলীর দাফন সম্পন্ন

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রত্তন আলী শরীফের (বীর প্রতীক) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বরিশালের বাবুগঞ্জের রাকুদিয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট (অব.) রত্তন আলী শরীফ (বীর প্রতীক) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি দুই স্ত্রী ও ৯ সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 

সন্তানদের অভিযোগ, সঠিক চিকিৎসাসেবা না পেয়ে অবহেলায় তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। সন্তানদের এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীর।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রত্তন আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার বাদ জোহর বাবুগঞ্জ উপজেলার সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে নামাজে জানাজা হয়। পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তিনি জানান, ডায়াবেটিক ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ায় গত শনিবার হাসপাতালের ৫০০৩ নম্বর কেবিনে তাকে ভর্তি করেন। রবিবার বিকেলে অক্সিজেন লেভেল কমে যায়। ডায়াবেটিক বেড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। তখন চিকিৎসকের কাছে গেলে তারা আসেননি। বাবাকে ওয়ার্ডে এনে বা বাইরে চিকিৎসা করতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এক সচিবের ফোনে চিকিৎসক কেবিনে এলেও তার আগে বাবার মৃত্যু হয়েছে।

শহিদুল ইসলামের অভিযোগ, বাবা দেশের জন্য যুদ্ধ করেও বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন তিনি।

এদিকে, ঘটনার পরপরই শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মাহাবুবুর রহমানকে প্রধান করে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষে হাসপাতাল পরিচালকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীর বলেন, চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়টি আমি শিওর না। তদন্ত রিপোর্ট পেলে নিশ্চিতভাবে সঠিক কারণ বলা যাবে। বিমানবাহিনীর সৈনিক হিসেবে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অসীম সাহসিকতার সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেন। তিনি একাধিক দুঃসাহসিক অভিযানে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দেন। তার বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করে। যা দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ সামরিক সম্মাননা। বিমানবাহিনীর ফ্লাইট সার্জেন্ট হিসেবে অবসরে যান তিনি। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here