বীজতলা নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

0

লালমনিরহাট জেলায় চলতি মৌসুমে ২ হাজার ১২২ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তৈরি হয়েছে ৯৬৬ হেক্টর। এর মধ্যে হাইব্রিড ৪২৪ হেক্টর, উফশী ৫৪২। তবে প্রতিকূল আবহাওয়া চিন্তায় ফেলে দিয়েছে কৃষকদের। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে, জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। এতে বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হতে পারে, আশঙ্কা কৃষকদের। নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে সময় ও খরচ দুই-ই বাড়বে, মনে করেন তারা।

রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে বোরো ধান আবাদের জমি এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে যথাক্রমে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫ হেক্টর এবং ২২ লাখ ৬৯ হাজার ৫৭৩ টন চাল। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে রংপুর জেলায় ৬ হাজার ৭২ হেক্টর বীজতলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে তৈরি হয়েছে ১ হাজার ৮৪০ হেক্টর। গাইবান্ধা জেলায় ৫ হাজার ৯৮৪ হেক্টর বীজতলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে তৈরি হয়েছে ৫ হাজার ৩৬৮ হেক্টর। কুড়িগ্রাম জেলায় ৫ হাজার ৩৫০ হেক্টর বীজতলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে তৈরি হয়েছে ৪ হাজার ৮৩ হেক্টর। লালমনিরহাট জেলায় ২ হাজার ১২২ হেক্টর বীজতলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে তৈরি হয়েছে ৯৬৬ হেক্টর। গত বছর এ সময় পর্যন্ত বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল ১৪ হাজার ৪৯ হেক্টর। ১ হেক্টর বীজতলার চারা দিয়ে ২০-২৫ হেক্টর জমি রোপণ সম্ভব।

জেলার কৃষকরা জানান, তাদের বীজতলা এখনো কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়নি। সামনে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা থাকায় বীজতলা রক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, ‘বীজতলা কোল্ড ইনজুরি রোধে প্রযুক্তি এখন অনেক কার্যকর। বীজতলা তৈরির পর কৃষককে সাদা পাতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে বলা হচ্ছে। জমিতে পলিথিন আটকানোর জন্য চারদিকে কাদা মাটি দিয়ে ভার দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। মাঝে মাঝে বীজতলার পলিথিন সরিয়ে বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর কথাও বলা হচ্ছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here