বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ

0

বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ। এই দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে শামিল হই সকলে’, আর স্লোগান ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’। ১৯৭২ সালে জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) উদ্যোগে প্রতিবছর ৫ জুন সারা বিশ্বে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে দিনটি পালিত হয়ে আসছে।

বাংলাদেশেও বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে। পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলা ২০২৩ এর আয়োজন করা হয়েছে। এবার জাতীয় বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’।

মন্ত্রী জানান, শেরেবাংলা নগরে পরিবেশ মেলা চলবে ৫ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত। বৃক্ষমেলা চলবে ৫ থেকে ২৬ জুন এবং ১ জুলাই থেকে ১২ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত।

তিনি জানান, দেশের সব জেলা ও উপজেলায় এবং ঢাকা মহানগরীর ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্যাপন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে শিশু চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতা, পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের জন্য সচেতনতামূলক সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে।

এদিকে পরিবেশ রক্ষার ওপরে ইসলাম বিশেষ গুরুত্বরোপ করেছে। কারণ, প্রতিটি প্রাণিকুলেরই ভারসাম্যপূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশ দরকার। সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবনধারণের জন্য এর বিকল্প নেই। ইসলাম প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে—আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি ও তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং নয়নাভিরাম বিবিধ উদ্ভিদরাজি উৎপন্ন করেছি। এটি আল্লাহর অনুরাগী বান্দাদের জন্য জ্ঞান ও উপদেশস্বরূপ। [সুরা কাফ, আয়াত: ৭-৮]

মানুষের অপরিকল্পনা, অদূরদর্শিতা ও অমানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে বর্তমানে প্রকৃতিতে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। এটি সারা বিশ্বের মানুষের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ফলে বায়ুতে দূষণ, তাপমাত্রা, রোগ-বালাই ও প্রাকৃতিক নানান দুর্যোগ বেড়ে চলেছে। তাই এসব বিপর্যয় থেকে বাঁচার জন্য বিজ্ঞানীরা বনরক্ষা ও বৃক্ষ রোপণকে অন্যতম উপায় বলে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।

অথচ মহানবী (সা.) বহু আগেই বৃক্ষ বা বন রক্ষার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। বৃক্ষ বা শস্য নষ্ট করাকে নিরুৎসাহিত করে তিনি মানুষকে উপদেশ দিয়েছেন। বৃক্ষ-তরুলতা প্রকৃতির প্রাণ এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। কাজেই বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা করতে হবে। অপ্রয়োজনে বৃক্ষ-তরুলতাকে নষ্ট করা যাবে না। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, যদি নিশ্চিতভাবে জানো যে কিয়ামত এসে গেছে, তখন হাতে যদি একটি গাছের চারা থাকে, যা রোপণ করা যায়, তবে সেই চারাটি রোপণ করবে। [সহিহ বুখারি]
এক হাদিসে প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান যদি একটি বৃক্ষের চারা রোপণ করে অথবা ক্ষেতখামার করে, অতঃপর তা মানুষ, পাখি, কোনো জন্তু ভক্ষণ করে, তা তার জন্য সদকার সওয়াব হবে। [সহিহ মুসলিম]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here