বিশ্ব কণ্ঠ দিবস আজ

0

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস আজ। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিনটি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘আপনার কণ্ঠের সাথে সদয় হন’। অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা, নিজের প্রয়োজনের কথা জানানোর জন্য কণ্ঠস্বরের বিরাট ভূমিকা। গায়ক, শিক্ষক, ডাক্তার, উকিল, নার্স, বিক্রয়কর্মী এবং রাজনৈতিক বক্তারা তাদের কণ্ঠস্বরকে সারাক্ষণই ব্যবহার করতে চান। কিন্তু এই করতে গিয়ে তারা কণ্ঠস্বরের সমস্যায়ও পড়েন বেশি। বিভিন্ন কারণে কণ্ঠস্বরের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- ঊর্ধ্ব শ্বাসনালির সংক্রমণ, কণ্ঠস্বরের অন্যান্য ব্যবহার, স্বরযন্ত্রের ক্যান্সার, নিউরোমাসকুলার সমস্যা, এমনকি মানসিক আঘাত। গলার স্বর ফ্যাসফেসে হয়ে গেলে, বিশেষ কোনো উঁচু স্কেলে গান গাইতে কষ্ট হলে, হঠাৎ করে স্বর বসে গেলে, গলা ব্যথা করলে বা কথা বলতে কষ্ট হলে, বারবার গলা পরিষ্কার করার প্রয়োজন হলে বুঝতে হবে, ভালো নেই কণ্ঠ স্বাস্থ্য।

কণ্ঠস্বর ভালো রাখার কিছু কৌশল : অতিরিক্ত চা, কফি, কোমল পানীয় গ্রহণে সাবধান হতে হবে। অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে এসবের উপাদান শরীর থেকে পানি বের করে দেয়। এতে করে স্বরযন্ত্রের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা কমে যেতে পারে। এছাড়া স্বরযন্ত্রের আবরক ঝিল্লির ওপর অ্যালকোহল পীড়নের সৃষ্টি করে থাকে। * খেতে হবে প্রচুর পানি। দিনে অন্তত ছয় থেকে আট গ্লাস। * ধূমপানের বদ অভ্যাসটি থেকে মুক্তি পেতে হবে। ধূমপায়ীদের মধ্যে স্বরযন্ত্রের ক্যান্সারের হার অনেক বেশি। * কথা বলার সময় বুকের ডায়োফ্রামের মাংসপেশির সাহায্য নিতে হবে। ফুসফুস তার হাওয়ার চালানো দিয়ে কথা তৈরিতে যেন সহায়তা করে। অন্যথায় স্বরযন্ত্রের ওপর পড়ে যায় বাড়তি চাপ। * ঝাল খাবার বর্জন করতে হবে। ঝাল থেকে বেড়ে যায় পাকস্থলির এসিড। আর তা উঠে আসতে পারে খাদ্যনালী বেয়ে, যাকে বলা হয় রিফ্লাক্স। * ঘরের ভিতর আর্দ্রতা যেন শতকরা তিরিশের মতো থাকে, দরকার হলে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা উচিত। * কণ্ঠস্বরের ওপর জোর খাটাবেন না। গলা খারাপ থাকলে কথা বলার এবং গান না গাওয়ার চেষ্টা করুন। * নিজের হাত দুটো প্রায় প্রায় ধুয়ে নেওয়ার অভ্যাস করুন। এতে সর্দিজ্বর আর ইনফ্লুয়েঞ্জা কাবু করতে পারবে কম। * ঘারে রিসিভার নিয়ে দীর্ঘ সময় কথা না বলা ভালো। * নিয়মিত ব্যায়াম অভ্যাস করবেন। ব্যায়াম কর্মশক্তি যেমন বৃদ্ধি করে, বাড়ায় মাংসপেশির দৃঢ়তা। ব্যায়াম জোগায়  নিঃশ্বাসের প্রাচুর্য, যাতে করে শুদ্ধভাবে কথা বলা সম্ভব হয়। * বিশ্রাম নিতে হবে যথেষ্ট। শারীরিক ক্লান্তি কণ্ঠস্বরের ওপর মন্দ প্রভাব বিস্তার করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here