আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে বিশ্বকাপে টিকিট কাটার আনন্দে থাকার কথা পর্তুগালের। কিন্তু সেটি আর হলো না, শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হেরে যায় তারা। হতাশার গল্প এখানেই শেষ নয়। ম্যাচের ৬১ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আয়ারল্যান্ডের ডিফেন্ডার দারা ও’শিয়াকে কনুই দিয়ে আঘাত করার পর প্রথমে হলুদ কার্ড পান, তবে পরে ভিডিও সহকারী রেফারির (ভিএআর) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের হতে হয় ৪০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে। মরার ওপর খাঁরার ঘা হিসেবে অপেক্ষা করছে আরো বিপদ।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবার লাল কার্ড দেখার পর ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের অন্তত প্রথম ম্যাচে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। আল নাসরের ফরোয়ার্ড রোনালদোকে লাল কার্ডের জন্য বাধ্যতামূলক এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করতে হবে। যা প্রয়োগ হবে পর্তুগালের আর্মেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। এই ম্যাচে জয় পেলে দল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো যৌথ আয়োজনের বিশ্বকাপে পৌঁছে যাবে পর্তুগাল।
ফিফার শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী, ‘গুরুতর ফাউল প্লের জন্য অন্তত দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করতে হবে। হিংস্র আচরণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা অন্তত তিন ম্যাচ বা প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য” হতে পারে। যেখানে কনুই দিয়ে আঘাত করার মতো আচরণও অন্তর্ভুক্ত। ফিফার এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে প্রযোজ্য, কোনো প্রীতি ম্যাচের জন্য নয়।
ম্যাচ শেষে পর্তুগালের কোচ রবার্তো মার্টিনেজ রোনালদোর লাল কার্ড প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই লাল কার্ডটি এসেছে এমন একজন অধিনায়কের জন্য যাকে আগে কখনও এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়নি — এটা কৃতিত্বের যোগ্য। আজকের ক্ষেত্রে আমার মনে হয় এটা একটু কঠিন। সে প্রায় ৫৮-৬০ মিনিট বক্সে আটকে ছিল, টানা ধাক্কা খাচ্ছিল, তখন আসলে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করে রোনালদো।’
পর্তুগাল কোচের মতে এটি গুরুতর কিছু নয়, ‘আমি মনে করি এই কাজটি ক্যামেরায় যতটা মনে হচ্ছে তার চেয়েও কম গুরুতর। আমি মনে করি এটা পুরো শরীরি লড়াই ছিল, কনুই নয়।’
ম্যাচের আগে পর্তুগালের অধিনায়ক রোনালদো আশা করেছিলেন দর্শকদের দুয়োধ্বনির মধ্যেও ‘ভাল ছেলে’ হিসাবে খেলার চেষ্টা করবেন। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না আল নাসর ফরোয়ার্ড।

