আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড।
মঙ্গলবার দলের নাম ঘোষণা করে ক্রিকেট বোর্ড।
ঘোষিত প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন জফরা আর্চারও। যদিও এখনো চোটে ভুগছেন এই গতিতারকা। অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের পর ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে থাকলেও ২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত প্রাথমিক দলে আর্চারের নাম রেখেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
১৫ সদস্যের এই দলে আছেন জশ টংও, যিনি এখনো আন্তর্জাতিক সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অভিষেক না হলেও কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক হ্যারি ব্রুকের আস্থাভাজন। ভারত ও শ্রীলঙ্কায় প্রত্যাশিত তুলনামূলক ব্যাটিং–বান্ধব উইকেটে টং কার্যকর হবেন বলেই মনে করছেন দল পরিচালনা পর্ষদ।
অন্যদিকে, সীমিত ওভারের দলে পুরোপুরি বাদ পড়েছেন জেমি স্মিথ। ওপেনার হিসেবে পরীক্ষা–নিরীক্ষা ব্যর্থ হওয়ায় নতুন বছরের শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে শুরু হতে যাওয়া সাদা বলের সেট–আপে তার আর জায়গা হয়নি। নিউজিল্যান্ড সফরের টি–টোয়েন্টি সিরিজ মিস করা বেন ডাকেট দলে ফিরেছেন।
অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের সেরা পারফর্মার ছিলেন আর্চার। অ্যাডিলেড টেস্টে পাঁচ উইকেটসহ পুরো সিরিজে নিয়েছেন ৯ উইকেট, সঙ্গে ব্যাট হাতে করেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ফিফটিও। তবে সেই টেস্টেই পাওয়া চোটের কারণে তিনি শ্রীলঙ্কা সফরের ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারবেন না। বর্তমানে বার্বাডোজে ইসিবির মেডিকেল টিমের তত্ত্বাবধানে পুনর্বাসন চলছে তার। ফেব্রুয়ারিতে মুম্বাইয়ে নেপালের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের আগে তিনি দলে যোগ দেওয়ার কথা।
টং এ বছর দ্য হান্ড্রেডে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন এবং অ্যাশেজে দুই টেস্টে ১২ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন। এমসিজিতে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি—অস্ট্রেলিয়ায় ইংল্যান্ডের ২০১১–র পর প্রথম টেস্ট জয়ে বড় ভূমিকা ছিল তার।
অলরাউন্ডার উইল জ্যাকস দুই স্কোয়াডেই ফিরেছেন। জ্যাক ক্রলি ২০২৩ সালের পর আবার ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছেন। তবে জর্ডান কক্স ও চোটগ্রস্ত সাকিব মাহমুদ দলে নেই।
অ্যাশেজ শেষের পর খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কা সফর হলেও টেস্ট তারকাদের বিশ্রাম না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড। সাদা বলের সাম্প্রতিক হতাশাজনক পারফরম্যান্স কাটাতে অভিজ্ঞতার ওপরই ভরসা রাখছে দলটি। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ওপরও চাপ কম নয়, তার অধীনে টি–টোয়েন্টিতে জয়–পরাজয়ের ব্যবধান খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয়, আর ওয়ানডেতে অবস্থা আরও কঠিন।
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাফল্যই ম্যাককালামের জন্য হতে পারে বড় স্বস্তির জায়গা। ইংল্যান্ড আগে এই শিরোপা জিতেছে ২০১০ ও ২০২২ সালে।
ইংল্যান্ড স্কোয়াড: হ্যারি ব্রুক (অধিনায়ক), রেহান আহমেদ, জফরা আর্চার (শুধু বিশ্বকাপ), টম ব্যান্টন, জ্যাকব বেটেল, জস বাটলার, ব্রাইডন কার্স (শুধু শ্রীলঙ্কা সফর), স্যাম কারান, লিয়াম ডসন, বেন ডাকেট, উইল জ্যাকস, জেমি ওভারটন, আদিল রশিদ, ফিল সল্ট, জশ টং, লুক উড।

