চড়া মূল্যের সমালোচনার মধ্যেও বিশ্বকাপ ফুটবলের টিকিট নিয়ে দর্শকদের আগ্রহে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র দুই সপ্তাহে ১৫ কোটি টিকিটের আবেদন জমা পড়েছে, যা ফিফা বিশ্বকাপের প্রায় ১০০ বছরের ইতিহাসে প্রথম। টিকিট প্রত্যাশীদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপর জার্মানি ও যুক্তরাজ্য।
এই বিপুল আগ্রহে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তিনি বলেন, দর্শকদের এই উন্মাদনাই প্রমাণ করে বিশ্বকাপের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে একসূত্রে বাঁধা সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে যৌথভাবে আয়োজিত হতে যাওয়া আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। আয়োজক দেশগুলোতে চলছে অবকাঠামো উন্নয়ন ও নানা আয়োজন। মাঠের ফুটবল শুরু হতে এখনও সময় থাকলেও সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে বিশ্বকাপের টিকিট।
বিশ্বকাপের টিকিটের দাম নিয়ে শুরু থেকেই সমালোচনা চলছে। অনেক দর্শক অভিযোগ করেছেন, কাতার বিশ্বকাপের তুলনায় এবার কয়েকগুণ বেশি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। চড়া মূল্যের কারণে প্রতিবাদও জানিয়েছেন টিকিট প্রত্যাশীরা।
সমালোচনার মুখে পড়ে ফিফা পরে ‘সাপোর্টার এন্ট্রি টায়ার’ নামে একটি সীমিত সংখ্যক কমদামি টিকিট ক্যাটাগরি চালু করে। এই ক্যাটাগরিতে ফাইনালসহ ১০৪টি ম্যাচের টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ ডলার। তবে এরপরও পুরোপুরি থামেনি সমালোচনা।
টিকিটের মূল্য নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ফিফা সভাপতি। তিনি জানান, দাম কমানো হোক বা না হোক, টিকিটের চাহিদা অভূতপূর্ব।
জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, গেলো ১৫ দিনে আমরা ১৫ কোটি টিকিটের অনুরোধ পেয়েছি। প্রতিদিন গড়ে এক কোটি টিকিটের আবেদন এসেছে। টিকিট প্রত্যাশীদের মধ্যে এক নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্র, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে জার্মানি ও যুক্তরাজ্য।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বকাপের ১০০ বছরের ইতিহাসে মোট ৪ কোটি ৪০ লাখ টিকিট বিক্রি হয়েছে। আর এই বিশ্বকাপের জন্য মাত্র দুই সপ্তাহেই সেই চাহিদা ছাড়িয়ে গেছে। এটি প্রমাণ করে বিশ্বকাপ কতটা শক্তিশালী একটি আয়োজন।
ফিফা সভাপতির দাবি, বিশ্বকাপ থেকে অর্জিত রাজস্বই বিশ্বজুড়ে ফুটবলের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়। তিনি বলেন, ফিফা ছাড়া বিশ্বের অন্তত ১৫০টি দেশে সংগঠিত ফুটবল কার্যক্রম টিকে থাকত না।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিশ্বকাপ যত ঘনিয়ে আসবে, টিকিটের চাহিদা ততই আরও কয়েকগুণ বাড়বে।

