বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ ঐতিহ্য কুয়া

0

বিলুপ্তির পথে প্রাচীন ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে একটি কুয়া। একসময় মানুষের পানের জন্য সুপেয় পানির উৎস ছিল কুয়া। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে গ্রামবাংলার মা-বোনের কলসি নিয়ে কুয়া থেকে পানি নিয়ে আসার চিত্র তেমন দেখা না গেলেও দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, খানসামাসহ কিছু এলাকায় আজও দেখা গেছে।

কুয়া সাধারণত ইঁদারা, ইন্দিরা, ইন্দ্রা, কূপ ও পাতকুয়া বিভিন্ন নামে পরিচিত। ১০-১৫ ফুট গোল গর্ত করে অন্তত ৫০-৬০ ফুট নিচ পর্যন্ত মাটি খুঁড়ে এসব কুয়া তৈরি করা হতো। মাটির নিচের পানির স্তরই ছিল এসব কুয়ার পানির প্রধান উৎস। কুয়ার নিচ থেকে উপর পর্যন্ত চারপাশ ইট বা রিং (সিমেন্ট-বালুর তৈরি গোলাকার কাঠামো) দিয়ে বাঁধাই করা হতো। ৯০ দশক পর্যন্ত অনেক এলাকার মানুষ তাদের সুপেয় পানির চাহিদা পূরণ করতো এসব গভীর কুয়া থেকে।

কালের সাক্ষী বিলুপ্তপ্রায় কুয়ার সন্ধান মেলে চিরিরবন্দরের ইসবপুর ইউপির দক্ষিণ নওখৈর গ্রামে। যার নিচে চারদিকে প্লাস্টার করা। যা আজও ব্যবহার হচ্ছে। এলাকার মানুষের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে তৎকালীন পাকিস্তান শাসনামলে এই কুয়া নির্মাণ করেন মরহুম ছমিরউদ্দিন শাহ্। এখনো এই কুয়ার পানি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

স্থানীয় তোজাম্মেল হোসেন বলেন, বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই আমি এই কুয়া দেখে আসছি। এর গভীরতা অনেক। পানি বেশ ঠাণ্ডা ও স্বচ্ছ। এক সময় এলাকার সবাই এ কুয়ার পানি পান করতাম। আগে পানির স্তর ভূগর্ভের নিচে নেমে গেলে এ কুয়ার ওপরই নির্ভর করতে হতো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here