দলবদলের বাজারে এবার বেশ সক্রিয় ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দলে যোগ করেছে তারা বেশ কজন নতুন ফুটবলার। সেটির প্রভাব পড়েছে ক্লাবের আর্থিক বিবরণে। ফুটবলার কিনতে বড় অংশ খরচ করেছে ক্লাবটি ধার করে। ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবার তাই দেনা স্পর্শ করেছে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থ বছরে ক্লাবের প্রথম ত্রৈমাসিক অর্থ বিবরণী প্রকাশিত হয় বৃহস্পতিবার।
সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই হিসাবে দেখা যায়, ক্লাবের অচলতি ঋণ এখন ৪৮ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড বা ৬৪ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। তবে ‘রিভলবিং ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি’ থেকে ক্লাবটি আরও সাড়ে ১০ কোটি পাউন্ড ব্যবহার করেছে, তাতে এই খাতে দেনা হয়েছে ২৬ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড। তাতে নিট দেনা এখন ৭৪ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ডের বেশি বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।
একসময় এই ক্লাবের কোনো দেনা ছিল না। ২০০৫ সালে গ্লেজার পরিবার ক্লাব কেনার পর থেকে পর্যায়ক্রমে বিপুল দেনার চক্রে আছে তারা।
এসবের মধ্যেও মাঠের ফুটবলে সুদিন ফেরানোর আশায় এবার দলবদলে ২৩ কোটি পাউন্ডের বেশি খরচ করেছে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সফলতম দলটি। এত দেনার চোখরাঙানির মাঝেও ১ লাখ দর্শক ধারণ ক্ষমতার নতুন স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা তারা করছে, যেটিতে খরচ হবে ২ বিলিয়ন পাউন্ড।
বৃটেনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি জিম র্যাটক্লিফ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্লাবের ২৭.৭ শতাংশ শেয়ার কেনার পর থেকে অবশ্য ব্যয় সঙ্কোচন ও আয় বাড়ানোর নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিচলন ব্যয় কমানো, টিকেটের দাম বাড়ানো, অনেক স্টাফ ছাঁটাইসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রথমবারের মতো দেনা বিলিয়ন ডলার ছাড়ালেও ক্লাবের প্রধান নির্বাহী ওমার বেরাদার দাবি, পালাবদলের পথ ধরে ‘শক্তিশালী অগ্রগতি’ ফুটে উঠেছে এবারের আর্থিক বিবরণীতে।
তার দাবির প্রতিফলন আছে অবশ্য একটি খাতে। প্রথম তিন মাসে পরিচলন খাতে ১ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড লাভ করেছে ক্লাবটি। গতবার এই সময়ে যেখানে ক্ষতি হয়েছিল ৬৯ লাখ পাউন্ড।
তবে উল্টো চিত্র আছে সামগ্রিক রাজস্বে। মোট রাজস্ব কমে গেছে ২ শতাংশ। এই সময়ে ক্লাবের মোট ক্ষতির পরিমাণ ৬৬ লাখ পাউন্ড, আগের বছর এই সময়ে যেখানে লাভ হয়েছিল ১৪ লাখ পাউন্ড।
সেটি অবশ্য অনুমিতই ছিল, মূলত ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টগুলোয় খেলার যোগ্যতার অর্জন করতে না পারার প্রভাবই পড়েছে এখানে।

