বিদেশিদের চাপে আওয়ামী লীগ ভদ্র সাজার চেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল

0

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। বিদেশিদের চাপে নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ভদ্র সাজার চেষ্টা করছে। 

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে, যা নিবর্তনমূলক আইনের নামান্তর। এটি করে সরকার জনগণকে বোকা বানাচ্ছে। 

গতকাল সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের জন্য কালো আইন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনটি পুরোপুরি বাতিল করতে হবে। এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী আইন। 

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আলোচনা করে আইন প্রণয়ন করবে-এটা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আশা করি না। আওয়ামী লীগের চরিত্র আমরা জানি। অনেকে মনে করেন আওয়ামী লীগ ভালো কাজ করবে, কিন্তু গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে সব সময় নিয়ন্ত্রণ করেছে। এটা নতুন নয়, ১৯৭৫ সাল থেকে এই কাজ করে আসছে তারা। 

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাপের কারণে এখন তারা বাকশাল কিংবা একদলীয় শাসনের কথা প্রকাশ্যে বলতে পারছে না। তাই ওপরে মোড়কটা পরিবর্তন করলেও ভেতরের ঘটনা তাই ঘটছে।

গণভবনে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি যেন নির্বাচন করতে না পারে তার সব রকমের ব্যবস্থা সরকার করছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে আটকে রাখা, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির যেসব অধিকার রয়েছে তা থেকে বিরত রাখা। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে-আগামী নির্বাচনকে তাদের আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার পথকে প্রশস্ত করতে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার অনৈতিক, অসাংবিধানিক, বেআইনি ফরমায়েশি রায় দিয়ে বিরোধী রাজনীতিকে নির্মূল করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে।

এর আগে সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here