বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা

0
বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আজকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়ে সেনা সদস্যরা যেভাবে এসেছেন বা যেভাবে ওনাদের নিয়ে আসা হয়েছে, এখানে সেনা প্রশাসন বা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সেনাপ্রধান, ওনারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন এটা অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার। তারা আইনে শাসনের প্রতি যে শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়েছেন, এটা আমরা খুব পজিটিভলি দেখছি।  

বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, সাব জেলে কেন রাখা হয়েছে বা ওনাদের (মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তা) কোথায় রাখা হবে এটা সম্পূর্ণভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভুক্ত বিষয়। ওনারা যেটা প্রয়োজন, যেটা অ্যাপ্রোপ্রিয়েট মনে করবেন… এটা ওনারা করবেন। এটার জবাব দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই।

বুধবার পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের আমলে গুম এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের আলাদা তিন মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ঢাকা সেনানিবাসের ‘সাবজেল’ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে নেওয়া হয়। পরে ওই কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এছাড়া, মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্য পলাতক আসামিদের বিষয়ে সাতদিনের মধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।

এ তিন মামলায় ২৫ জন সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি। তাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানা যায়।

গত ১১ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের মেসে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে সেনা হেফাজতে আছেন। চার্জশিটে প্রায় ২৫ সেনা কর্মকর্তার নাম এসেছে। এর মধ্যে অবসরে আছেন নয়জন, এলপিআরে একজন এবং কর্মরত আছেন ১৫ জন। যারা অবসরে গেছেন, তাদের ক্ষেত্রে আমাদের সেনা আইন প্রযোজ্য নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here