নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনড় থাকলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা নিয়ে নানা বিশ্লেষণ চলছে বিএনপিতে। কখন কীভাবে কোন সরকারের অধীনে দল নির্বাচনে যাবে তা নিয়ে হচ্ছে ব্যাপক আলোচনা। তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন দলের শীর্ষ নেতা তারেক রহমান।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে কমিটির সব সদস্যই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জোরদার করার বিষয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়।
তারুণ্যের রোডমার্চ বিএনপির তিন সংগঠনের : সরকার পতনে এক দফার দাবিতে বিএনপির তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন দুই দিনের তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর রংপুর থেকে সৈয়দপুর দশমাইল হয়ে দিনাজপুর। ১৭ সেপ্টেম্বর বগুড়া থেকে সান্তাহার-নওগাঁ হয়ে রাজশাহী পর্যন্ত রোডমার্চ করবে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, এ তারুণ্যের রোডমার্চে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর এ দেশের প্রায় ৪ কোটি তরুণ ভোটার ভোট দিতে পারেননি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এ সরকার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে তরুণদের ভোটাধিকার হরণ করেছে। ৫০ লাখ বিএনপি নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এ সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।