বালিয়াকান্দিতে ফুলচাষে সাফল্য

0

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে দেশি জাতের গাঁদা ফুলচাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান তপু।

উপজেলার বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের ভীমনগর গ্রামের ওই ব্যবসায়ী চলতি মৌসুমে গাঁদা ফুলচাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। তার ফুলের বাগান দেখতে প্রতিদিন দর্শনার্থীরা আসছেন।

তপুর ফুলচাষ দেখতে আসছেন অনেক দর্শনার্থী। তারা বলেন, আমাদের ধারণা ছিল ফুলচাষ শুধুমাত্র যশোর জেলার গদখালিতে হয়। কিন্তু সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন তপু। তপুর ফুলবাগানে বাসন্তী গাঁদা, রক্ত গাঁদা, গোলাপ, রজনীগান্ধা রয়েছে। ফুলগাছে প্রচুর ফুল ধরছে। অনেক কৃষক তপুর সাথে পরাশর্ম করছেন ফুল চাষের জন্য।

ফুলচাষী তপু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমি বালিয়াকান্দি উপজেলার গেটে ফুলের ব্যবসা করি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে ফুলের তোড়া ও ডালা সরবরাহ করতে হয়। অনেক সময় যশোর থেকে ফুল আসতে দেরি হয়। সেই কারণে আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়। সেখান থেকে মাথায় আসে ফুল চাষের। এরপর যশোর জেলার গদখালি যাই। সেখান থেকে ধারণা নিয়ে আসি ফুলচাষের। বাড়িতে ফুলচাষের কথা বললে বাবা বাধা দেয়। এরপর লীজ নিয়ে ২২ শতাংশ জমিতে ফুলচাষ করি। আমার বাগানে এখন বাসন্তি গাঁদা ধরেছে। প্রতিপিচ গাঁদা পাইকারি ৭৫ পয়সা ও খুচরা ১ টাকা করে বিক্রি করছি। প্রথম সপ্তাহে ১৩ হাজার টাকা, দ্বিতীয় সপ্তাহে ১৫ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছি। 

রাজবাড়ীতে ফুলের ব্যবসা করেন কালাম মন্ডল। তিনি বলেন, যশোর ও সাতক্ষীরা থেকে ফুল আনতে আমাদের অনেক খরচ হয়। রাজবাড়ীতে ফুল চাষ হলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হবে। নিজ জেলা থেকে ফুল ক্রয় করে বিক্রি করলে আমরাও লাভবান হবো। 

বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বালিয়াকান্দি পাট ও পিঁয়াজ চাষের জন্য বিখ্যাত। কেউ অন্য চাষের দিকে যেতে চায় না। তপু সাহস করে উদ্যোগ নিয়েছে ফুল চাষের। প্রথমেই তিনি সাফল্য অর্জন করেছেন। তার ফুলবাগান আমরা পরিদর্শন করেছি। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here