জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইবাদতবান্ধব ধর্মীয় আবহ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
রবিবার দুপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। বায়তুল মোকাররমের উন্নয়ন ও সংস্কার বিষয়ে দেশবাসীকে প্রকৃত তথ্য অবহিত করার উদ্দেশ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, যে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম-কানুন, বিধি-বিধান অনুসরণ করেই এগোতে হয়। ইচ্ছা করলেই রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলতে পারি না। আমাকে সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণ করেই উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হয়। আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু কাজ সম্পন্ন করেছি, কিছু কাজ চলমান রয়েছে এবং অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে আরও কিছু কাজে হাত দেয়া হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের অনেক উন্নয়ন ও সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক সমস্যা নিরসনে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন করে সাব-স্টেশন নির্মাণ ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছে। অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নতুন করে সংযোজন এবং স্পর্শকাতর ৮০টি স্পটে ফায়ার হাইড্রেট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া পানির সমস্যা নিরসনে মসজিদের জন্য সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন এবং
আধুনিক ও উন্নতমানের সাউন্ড সিস্টেম সংযোজন করা হয়েছে।
ড. খালিদ বলেন, নতুন ড্রেন নির্মাণ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার করা হয়েছে। মসজিদের ভিতরের ৪০টি এবং মহিলাদের নামাজ কক্ষের সব কটি এসি সার্ভিসিং ও সচল করা হয়েছে। ৪৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ১২ হাজার স্কয়ার ফুট উন্নতমানের কার্পেট সংযোজন, মিনারের জায়নামাজ ও কার্পেট পরিবর্তন করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, গত এক বছরে বায়তুল মোকাররম ১২০টি নতুন সিলিং ফ্যান এবং ৩য় ও ৪র্থ তলায় ১০টি পেডেস্টাল ফ্যান সংযোজন করা হয়েছে।
সার্বক্ষণিক অযুখানা ও টয়লেট পরিষ্কারের জন্য বেসরকারি সিকিউরিটি কোম্পানি সাথে চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে এবং এ কোম্পানির হতে অযুখানা ও টয়লেট পরিষ্কারের জন্য ১২ জন লোক নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, আধুনিক ও টেকসই ডিজাইনে মুসল্লীদের জন্য পূর্বদিকের ৩০টি টয়লেট ও অযুখানা নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। দক্ষিণ ও পূর্ব দিকের ক্ষতিগ্রস্ত ৪টি গেট নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে এবং মসজিদে অভারহেড জুতার বক্স সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট থেকে দুই কোটি টাকা বকেয়া আদায় করা হয়েছে এবং অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে দুটি দোকান উদ্ধার করা হয়েছে। এ মার্কেটের দুটি
কার পার্কিংটি ইজারা ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
তিনি বলেন, গত এক বছরে মসজিদ ও মার্কেটের মূলধন ৯০ কোটি থেকে ১১০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের আধুনিকায়ন, সৌন্দযবর্ধন ও উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত সময়ে শুরু হবে।
এসময় ধর্ম সচিব কামাল উদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান, ওয়াকফ প্রশাসক নূর আলমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

