বান্দরবানের তিন উপজেলায় (রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি) যৌথবাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। এজন্য ওইসব এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যেকোনো ধরনের পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
বান্দরবানের রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ দিদারুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনাকালে কোনো হোটেলে পর্যটকদের রুম ভাড়া দেওয়া যাবে না।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি, রুমা পর্যটক গাইড অ্যাসোসিয়েশন, জিপ ও মাহেন্দ্র মালিক সমিতি, বোট মালিক সমিতিকে এসব নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, বান্দরবানে অসংখ্য পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। রুমা, থানচি আর রোয়াংছড়ি ছাড়া বান্দরবানের অন্যান্য ৪টি উপজেলায় অসংখ্য পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে সেগেুলোতে কোনো সমস্যা নেই।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমরা পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। শুধুমাত্র বান্দরবানের তিন উপজেলায় (রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি) যৌথবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার জন্য ওইসব এলাকার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তার কারণে সাময়িকভাবে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছি। ৩ উপজেলা ছাড়া অন্যান্য উপজেলাগুলোর সব পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াতে পারবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
প্রসঙ্গত: গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। পার্বত্য এলাকার সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের সদস্যরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিত করার পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ঘটনার পর থেকে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায়।