বাড়ছে আলো দূষণ

0

বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, শব্দদূষণ, মাটিদূষণ নিয়ে ঢের আলোচনা হলেও আলোও যে দূষণ ঘটাতে পারে, তা অনেকেরই অজানা। কম বা মাত্রাতিরিক্ত আলো ক্ষতি ডেকে আনতে পারে চোখের। শরীর ও মনের ওপরও আলোর বিস্তর প্রভাব রয়েছে। কোথাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রার আলো থাকলে তাকে আলো দূষণ বলা হয়। কৃত্রিম আলোকেই মূলত দূষণের উপাদান হিসেবে ধরা হয়। এ কারণে বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি)-তে ভবনে আলো ব্যবহারের জন্য কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়, কোনো অফিসের আয়তন ১০০ বর্গ ফুট হলে সেখানকার অভ্যন্তরীণ আলোর মাত্রা আনুমানিক ৭৪ থেকে ২১০ ওয়াটের মাঝে থাকা উচিত।

ভবনের বাইরের আলোর ক্ষেত্রে এটি হওয়া উচিত ৪৯ থেকে ৯১ ওয়াটের মাঝে। তবে এটা আবার আসবাবপত্র, চারপাশের পরিবেশ ও রঙের ওপর নির্ভরশীল। গবেষণায় দেখা গেছে, যত্রতত্র নিয়ম না মেনে সড়ক বাতি স্থাপন, ভবনের ভিতরে ও বাইরের অতিরিক্ত আলোকসজ্জা, সড়কে ছোট-বড় নানা আকারের বিলবোর্ড বসিয়ে তাতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনে শহর এলাকায় আলো দূষণ বাড়ছে।

এ নিয়ে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কোনো গবেষণা পাওয়া না গেলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুল ইসলামের ‘নেক্সাস বিটুইন লাইট পলিউশন অ্যান্ড এয়ার টেম্পারেচার : আ স্টাডি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক পুরোনো গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৩ সালে সমগ্র বাংলাদেশের মাত্র সাত দশমিক এক শতাংশ এলাকায় আলো দূষণ হতো। এক দশক পরে আলো দূষণ বেড়ে হয় ২৫ দশমিক চার শতাংশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here