পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা এলাকার গোয়ালগছ সিমান্তে বিএসএফের গুলিতে আইনুল হক (৩২) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত যুবকের বাড়ি উপজেলার কাশিমগঞ্জ গ্রামে। সে ওই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গোয়ালগছ সীমান্তের মেইন পিলার ৪৪৮ সংলগ্ন মহানন্দা নদীর ভারতীয় অংশের ফকিরগছ এলাকার একটি চা বাগানের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি। তবে নিহতের বড় ভাই আজিজুল সন্দেহ পোষণ করে বলছেন আইনুলের সঙ্গীরাও তাকে হত্যা করতে পারে।
নিহতের বড় ভাই আজিজুল ইসলাম জানান, আমি আমার এলাকার ভারতীয় গরু ব্যবসায়ী আজহারুল মেম্বার এবং শামসুলকে বলেছিলাম আমার ভাই আইনুলকে যেন সঙ্গে না নেয়। কারণ মাঝে মাঝে তাদের সাথে আইনুলের ঝগড়া লেগে যায়। গেল রাতে ওই আজহারুল মেম্বার ও শামসুল আমার ভাই আইনুলকে বাসা থেকে নিয়ে যায়। তিনি লোকমুখে শুনেছেন যে তার ভাইকে তার সঙ্গীরাই মেরে ফেলেছে।
বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কুদরতি-খুদা-মিলন সীমান্তে মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল যুবায়েদ হাসান বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় আমাদের কাছে খবর আসে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের গোয়ালগছ সীমান্তে ভারতীয় অংশে এক বাংলাদেশির মরদেহ পড়ে আছে। পরে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হই মরদেহটি বাংলাদেশি নাগরিকের। আমরা ধারণা করছি বিএসএফের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি। তবে এখনো তাদের পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি। পতাকা বৈঠক হলে অবশ্যই আমরা এ ঘটনার কারণ জানতে চেয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাব। বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠকের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।